পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোড়শ পরিচ্ছেদ } তাঙ্গাদের আচার-ব্যবহারে বৌদ্ধদের চেয়ে কোনমতেই ভাল নয়। ; ভূইয়ার জাতির এখনও বােলবােলা হয় নাই। কিন্তু জাতিটা গজাইতে { আরম্ভ করিয়াছে। উক্তারা বিহারের জমী ছাপাইয়া খাইতেছে, তাই । উহাদের নাম হইয়াছে ভূইহার বা ভূমিহারক। উহারা এখনও বৌদ্ধই আছে, কিন্তু ‘বাভন’ বলিয়া আপনাদের পরিচয় দেয়। মঙ্করী তাঙ্গাদের বাড়ীতে অতিথি হইতে রাজী নন। মঙ্করীর পা খুব চলে। তিনি সকালে বার ক্রোশ গিয়া কোথাও । আড়াডা লয়েন, বৈকালেও ৫৪ ক্রোশ হাটেন। দুই দিনের পর তিনি ! দূর হইতে দেখিতে পাইলেন, একটা কি যেন আকাশ ভেদ করিয়া । উঠিয়াছে। তিনি সঙ্গীদের দেখাইয়া বলিলেন,-“বল দেখি ওটা কি ?” কেত বলিল স্তপ, কেহ বলিল মন্দিরের চূড়া। একজন বলিল,-“না। ওটা ; গোপুর। দেখিতেছেন না, উষ্কার মাথায় দুইটা চুড়া ? মন্দির বা স্তপ ; হইলে এরূপ হইত না। বােধ হয়, ওদু'টা কোটের দুয়ার পথের } লোককে জিজ্ঞাসা করিয়া জানিলেন যে, মগধের রাজধানী ওদন্তপুরী অতি : নিকট। ওদুটা ওদন্তপুরী বিহারের এক দিকের দরজা। মঙ্করী। আগে- ; ভাগেই ওদন্তপুরীর রাজার নিকটে দূত পঠাইয়া দিলেন। দূত গিয়া অল্প চেষ্টাতেই রাজার দর্শন পাইল। দূত রাজসভায় { উপস্থিত হইয়া রীতিমত শিষ্টাচারের পর বলিল,-“বঙ্গাধিপতি মহারাজাধিরাজ হরিবর্মদেব আগামী ফাঙ্কনী পূর্ণিমায় রাজসভা করিয়া কাব্যে, শাস্ত্ৰে ও শিল্পে গুণিজনের পুরস্কার করিবেন। এই জন্য তিনি রাঢ়দেশের ব্ৰাহ্মণ ভবতারণ পিশাচখণ্ডীকে আপনার দেশে পাঠাইয়াছেন। তঁহার অনুরোধ আপনার দেশের সমস্ত গুণিজকে নিমন্ত্রণ করিবার জন্য পিশাচখণ্ডীকে আপনি সাহায্য করেন, যেন একটীও বাদ না যায়,-ইহাই তেঁাহার একান্ত অনুরোধ । Sኳ”62