পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণের মেয়ে হইতেছে। পঞ্জাবরাজের খবর আসিলেই রওয়ানা হইয়া যাইবে। মস্কারীর, রাজসভার কথা কেহই শুনিতে চাহে না । শুনিবে কি ? পাঞ্জাব ধবংস করিতে পারিলেই কনৌজ, মাঝে আর কিছুই নাই। অনঙ্গপাল তাই কনৌজে অনেক লোক পঠাইয়াছেন। তাহার কনৌজের লোককে বেশ বুঝাইয়া দিয়াছে যে, বিপদ আসন্ন। তাই সবাই মাতিয়াছে। আহা ! এমন সোনার কনৌজ ছারখারে যাবে গো ? এ কথা বাহারই মনে হয়, সেই সৰ্ব্বস্ব পণ করে, প্ৰাণ পণ করে। মস্করীর কথা কেহ শুনে না । শুনিবে কি ? তিনি অনেকবার ভাবেন, “ফান্ধনী পূর্ণিমায় রাজসভা করিব, না বলিলেই ভাল হইত। আমিও সাজিতে পারিতাম। আমার আর কে আছে ? সনাতনধৰ্ম্মের জন্য যথাসৰ্ব্বস্ব ত দিতামই, প্ৰাণটাও দিতাম । এমন বিপদ উপস্থিত জানিলে কি এমন কাৰ্য্য করি ? আমাদের দেশে এত কাণ্ডের কোনই খবর নাই, মগধেও তা নাই। এখন করি কি ? আরও যাইব কি ? যাইয়া ফল নাই, সৰ্ব্বত্রই এইরূপ দেখিব। নানা দেশ দেখিবার, নানা তীৰ্থ করিবার কত বাঞ্ছা ছিল ; কিন্তু যদি নিমন্ত্রণই না। করিতে পারি, বৃথা অর্থব্যয়েরই বা দরকার কি ? বৃথা পরিশ্রমেরই বা কারণ কি ? তবে এখান হইতেই ফিরিব কি ? এখনও তা দিন আছে ? ফিরিব কি ?” আবার ভাবিলেন :-“দেখিলাম ত কনৌজই এখন ভারতের প্রাণ। এইখানে বসিয়াই ভারতের নাড়ী-নক্ষত্রের খবর লই । তাহার পর যাহা বিবেচনা হয়, করিব । মঙ্করী মাসখানেক কনৌজে রহিলেন, অনেক দেশের অনেক লোকের সঙ্গে কথাবাৰ্ত্তাও কহিলেন ; কিন্তু সব বৃথা হইল। সকলেই বলিল, রাজসভার এ সময় নয়। . পরম শক্রি দরজায় ঘা দিতেছে। ইহারা আসিলে- সৰ্ব্বনাশ হইয়া যাইবে। হিন্দুর হিন্দুত্ব লোপ হইয়া যাইবে । এখন এক্মানে ওকপ্ৰাণে যাহাতে উহাদের হটাইতে পারি, তাহারই চেষ্টা Ro's