পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ উদয়ন গিয়া বসিলেন, বাজনা বাজিয়া উঠিল। ডাক হইল রত্নাকর অশান্তির। ডাক হইবামাত্র গুরুপুত্ৰ নিজ আসন ত্যাগ করিয়া রত্নাকর শান্তির নিকট উপস্থিত হইলেন এবং তঁাতাকে সঙ্গে করিয়া রাজার নিকট উপস্থিত হইয়া বলিলেন, “মহারাজাধিরাজ ইনি রত্নাকর শান্তি, বিক্রমশীল বিহারের দ্বাররক্ষক । ইহার নিকট বিদ্যার পরিচয় না দিয়া কেহ সে বিহারে প্রবেশ করিতে পারে না। ইনি দার্শনিক, ইনি নৈয়ায়িক, ইনি সিদ্ধপুরুষ, ইনি বোধিসত্ব। বাৎস্যায়ন, উদ্যোন্তকর দিঙনাগ, বসুবন্ধু ন্যায় শাস্ত্রের যে সকল জটিল অংশ পরিষ্কার করিতে পারেন নাই, সেগুলি ইনি মীমাংসা করিয়া দিয়াছেন। ইহার প্রতিভা সৰ্ব্বতেমুখী। ইনি বাঙ্গলা ভাষায় একজন অতি সুকবি।” মহারাজাধিরাজ বলিলেন, “আচাৰ্য্য, ভদন্তু, পিণ্ডপাতিক, আপনার নাম আমি বহুদিন হইতে শুনিতেছি। আজ চক্ষুকণের বিবাদ মিটাল, আপনার সঙ্গে চাক্ষুষ হইল। আপনি আমাদের পূজা গ্ৰহণ করিয়া আমাদের কৃতাৰ্থ করুন।” বলিয়া তাতার মাথায় মুকুট ও গলায় হার পরাইয়া দিলেন । তিনি বলিলেন, “মহারাজাধিরাজ, ভগবান আপনার মঙ্গল করুন। আপনি গণপতি, এই সারা বাঙ্গলার গণের আপনি মুখপাত্র। আপনার মুখে আমার দেশ আমায় ভাল বলিতেছে, ইহা অপেক্ষা শ্লাঘার বিষয় মানুষের, বিশেষ আমার মত ভিক্ষুর, কি হইতে পারে!”-বলিয়া তিনি আপন জায়গায় গিয়া বসিলেন । আবার বাজনা বাজিল । তাহার পর ডাক হইল শ্ৰীধরের, তাতার পর প্রজ্ঞাকির মতির, এইরূপে একজন হিন্দু ও তাহার পর একজন বৌদ্ধের ডাক, তইতে লাগিল । এইরূপে উভয় পক্ষের দশবার করিয়া ডাক হইবার পর হরিবল্মা অবশিষ্ট পণ্ডিতগণের সেবার ভার ভবদেব ও গুরুপুত্রের হাতে RS\9