পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ সূরে সমুদ্রস্ত কদাপি পুরে কদাচিাদভ্ৰমদাত্ৰগর্ভে । শুনিয়া রাজা আশ্চৰ্য্য হইয়া গেলেন। বলিলেন,-“কি পাণ্ডিত্য! बि শব্দের লালিত্য ! কি অনুপ্রাসের ছটা ! আপনি আমার রাজত্বের একখানা কাব্য লিখিয়া দিবেন ?” শ্ৰীহৰ্ষ বলিলেন,-“আমি গৌড়েববীশকুলপ্ৰশস্তি নামে একখানি কাব্যের পত্তন করিয়াছি। ঐ কাব্যে মহারাজাই নায়ক হইবেন।” রাজা বলিলেন, “আমি বলার আগেই পত্তন করিয়াছেন ?” তিনি বলিলেন,-“হা, মহারাজ।” রাজা তাহার মস্তকে মুকুট ও গলায় তার দিয়া তঁহাকে পূজা করিলেন ; আর তঁহাকে প্ৰণাম করিলেন ।” তারপর আর্য ক্ষেমীশ্বর। ইনি পাল-রাজাদের কবি। ইনি হিন্দু কি বৌদ্ধ, বুঝা যায় না। ইনি ভিক্ষু হইয়াছিলেন, কিন্তু তাহার পর বিবাহ করিয়াছিলেন । র্যাহারা এরূপ করিতেন, তঁহাদের লোকে আৰ্য্য বলিত। যাহারা বিবাহ না করিয়া ভিক্ষু থাকিতেন, তঁাতাদের অনাৰ্য্য বলিত । অনাৰ্য্যেরা আর্য্যদের নমস্কার করিতেন না । ক্ষেমীশ্বরের কবিত্ব-খ্যাতি খুব ছিল। তিনি আসিলে রাজা ভঁাহাকে নিজের একটি কবিতা পড়িতে বলিলেন । রাজা তাহার কবিত্ব-শক্তির প্রশংসা করিয়া তাতার মাথায় মুকুট ও গলায় হার পরাইয়া দিলেন। তাহার পর আসিলেন বজ্ৰদত্ত। তিনি লোকেশ্বরের স্তব পাঠ করিলেন। তাহার উচ্চারণের অনেক দোষ ছিল। তিনি ‘ড়া’কে ‘র’ ও ‘র’কে ‘ড়া’ করিতে লাগিলেন, ‘স্ত’কে ‘ষ্ট’ ও ‘ষ্ট’কে ‘স্ত’ করিতে লাগিলেন। “দৃঢ়’ ‘দিহ’ হইয়া গেল, অচৈতীৎ “অচৈতি হইয়া গেল। কিন্তু তাঁহার গলার স্বর, পাঠের डकों ও ভক্তিগদগদ ভাব সভাস্থ লোককে মুগ্ধ করিয়া দিল। রাজা তাঁহাকে পুরস্কার দিলেন। R59 NA