পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণের মেয়ে পরে আসিলেন-ধপাল হুহু, তিনি এক কবিতা পড়িলেন, তিনি কান দেশের লোক, জানা যায় না ; তবে তাহার সংস্কৃত উচ্চারণে কেলেই হাসিতে লাগিলেন। তিনি তাহাতে কিছুই বিরক্ত হইলেন , বলিলেন, “আমরা বিদেশবাসী-দেববাণী আমাদের মুখা হতে is a তাহার পর আসিলেন জয়ভদ্ৰ, বাড়ী সিংহলদ্বীপ, বহুকাল বাঙ্গলায় |াস করিতেছেন, দু’চারিখানা তন্ত্রের টীকাও লিখিয়াছেন, সংস্কৃত জানেন লিয়া অভিমানও করিয়া থাকেন। তঁহার সংস্কৃত কবিতা শুনিয়া যাহ্মণ পণ্ডিতেরা হাসিতে লাগিলেন, বৌদ্ধ-পণ্ডিতেরা গদগদ হইয়া গলেন। তিনি একটু চটিয়া বলিলেন, “ভগবান “সৰ্ব্বারুতানুকারিণী।” ভাষায় |্যাখ্যা করিতেন। আমরা ব্ৰাহ্মণদের মত “সুশব্দবাদী’ নই। কিন্তু আমাদের যা আছে, তোমাদের তা নাই। অস্মাকানাং সৌগতানাং অর্থাৎ তাৎপৰ্য্যং শব্দনি কোশিচন্তা । আমাদের ‘অর্থশরণত’ তোমাদের छे।” সংস্কৃত কবিতা শেষ হইয়া গেলে প্ৰাকৃত কবিতা আরম্ভ হইল। প্রাকৃত ত একটি “ভাষা নয়। তা’র ভিতরে মাগধী আছে, অৰ্দ্ধমাগধী মাছে, শৌরসেনী আছে, মহারাষ্ট্ৰী আছে, পৈশাচী আছে, ঢাকী আছে, ঢাকারী আছে, তাহার উপর অপভ্ৰংশ আছে, মিশ্রভাষা আছে। একজন লিয়া দুলিয়া পড়িতে লাগিলেন :- সুবসন্তকে ঋতুবরে আগতকে রতিমো প্ৰিয়া ফুল্লিতপাদপকে । তর রূপ সুরূপ সুশোভনকে বশবত্তি সুলক্ষণ বিচিত্ৰতকো ৷ RRR