পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ যাব।” বিহারী প্ৰমাদ গণিল । উদ্যোগপৰ্ব্ব প্ৰায় শেষ হইয়াছে, এখন ফিরিবার যো নাই। সেও খুব শক্তলোক । অনেক তর্ক-বিতর্কের পর, অনেক কান্নাকাটার পর মেয়েকে সঙ্গে লইতে স্বীকার করিল, তখন স্ত্রীর পরাজয় হইল। তখন স্ত্রী বলিল, “ও মা, আমি মেয়ে ছেড়ে থাকিব কিরূপে ? সাতটা নয়, পাচটা নয়, একটিমাত্র মেয়ে”-বলিয়া কঁদিতে লাগিল। বিহারী অনেক বুঝাইল—“তুমি গেলে, আমার গৃহস্থালী কে দেখিবে ? ঠাকুর-দেবতার পূজা কে দেখিবে ? অতিথি-পথিকের সেবা কে করিবে ? গৃহিণীর গৃহ ছাড়িয়া কোথাও যাওয়া উচিত নয়।” কিন্তু এবার বেণেবেী নাছোড়বান্দা—“তুমি যাবে, মেয়ে যাবে, আমি কি নিয়ে ঘরে থাকিব ?” বিহারীর বক্ততায় কোন ফলই হইল না, অনুরোধ-উপরোধেও কোন ফল হইল না ; শেষে স্থির হইল, তিন জনেই যাইবে । বড় বড় বেণের আসিয়া ধরিয়া বসিল-“পরিবার সঙ্গে বিদেশে যাওয়া ! এ ত আমাদের দেশে কখনও নাই ! গেলে ভারী নিন্দ হবে।” কিন্তু কিছুতেই কিছু হইল না। আচাৰ্য্য মহাশয় আসিয়া দিন দেখিয়া দিলেন, সেই দিন-কৃষ্ণা প্ৰতিপৎ তিথি-বিহারী মেয়ে ও পরিবার সঙ্গে লইয়া "ডিঙ্গা ভাসাইলেন । [ ७ ] বিহারী দত্তের ডিঙ্গা, ভাসিল । ডিঙ্গা একখানা নয়, দুইখানা নয়, এক এক সাভাযায় সাতখানি করিয়া ডিঙ্গা-এমন সাত সাজঘা ডিঙ্গা ভাসিল। প্ৰত্যেক সাঙ্ঘায় এক একজন বুড়া পাটনি। আর মধুকর DBB GB DDD DDB DDDS S L DDDDB BBBDDBD DDS BDDDBB BBB এই সকল সাজঘার কৰ্ত্তা। প্ৰত্যেক সাজঘার এক একখানি ডিঙ্গায় VO)