পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

→i><च्ञ श्-ङ्किCष्ऋछ् ঐ ঘটনার ৪ বৎসর পরে যেদিন রূপা রাজার গাজন বাজির হয়, সেই দিন মায়া আসিয়া রাজার গুরু ও গুরুপুত্রের গলায় মালা দিয়া গেল, তখন তাহার মুখে বড়ই বিযাদের ছায়া । কারণ, সে সময় তাহার স্বামী জীবন ধনী অত্যন্ত পীড়িত। শ্বশুর পূৰ্ব্বেই স্বৰ্গারোহণ করিয়াছেন। ধন্যবংশের বড় ঘরে একটি জীবনমাত্র ভরসা ; সেও অত্যন্ত পীড়িত। তাহারই জীবনের উপর আবার দত্ত-বংশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করিতেছে। তাই তাহার মুখ স্নান । সে মালা দিবার সময়ে মনে মনে প্ৰাৰ্থন করিল-“হে গুরুদেব, আপনি ত অন্তৰ্যামী, আমার মনের কথা বুঝিয়া, আমার স্বামী যাহাতে জীবন পান, আশীব্বাদ করুন।” গুরুপুত্রের গলায় মালা দিবার সময় তঁাহার ও কাছে সেই প্রার্থনা করিল । দুজনেই আশীৰ্ব্বাদ করিলেন, সে যেন হঠাতে হাতে ফল পাইলাম মনে করিয়া হাতী হইতে নামিল। তাহার পর সে সকল দেবতার কাছেই মানত করিত, “ঠাকুর, আমায় বিধবা করিও না, আমার স্বামীর জীবন দাও।” পূর্ণিমা-অমাবস্তায় ব্ৰাহ্মণবাড়ী সিধাভোজ্য পাঠাইয়া এই কামনাই করিত। বুদ্ধ-মন্দিরে দীপ দিয়াও এই কামনাই করিত। ভিক্ষুসন্ন্যাসীকে ভিক্ষা দিয়া ও এই কামনাই করিত। স্বামীর সেবায় তাহার বিরতি ছিল না । যে চিকিৎসক যাহা বলিয়া দিতেন, সে অকাতরে পরিশ্রম করিয়া তাহাই করিত। যে দৈবজ্ঞ যেরূপ শান্তি-স্বাস্ত্যয়নের ব্যবস্থা দিতেন, সে কোনও বিষয়ের ক্ৰটি না করিয়া তাহাই করিত।