পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণের মেয়ে que har ar পাত সাজান হইলে, সন্ন্যাসীর দল বসিয়া গেল, অতিথি অভ্যাগত সব বসিয়া গেল ; বসিলেন না কেবল রাজগুরু লুই-সিদ্ধা । সকলে বসিয়া গেলে, রাজা তাহাকে সঙ্গে লইয়া খোলায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন এবং সব পরীক্ষা করিয়া গুরুদেবকে ভোজনের অনুমতি দিবার জন্য অনুরোধ করিলেন । গুরু খোলার একধার হইতে আর একাধার পৰ্য্যন্ত দেথিয়া গেলেন, বলিলেন, “সব উত্তম হইয়াছে, তোমরা আহার করিতে ব’স ।” তিনি নিজেও আপনার পাতে বসিয়া গেলেন । আহারের এই বিপুল আয়োজনের জন্য সিদ্ধাচার্য রাজাকে যথেষ্ট প্ৰশংসা করিলেন, আশীৰ্ব্বাদ করিলেন, “ধৰ্ম্মে তোমার মতি হউক ৷” * বৈকালে গাজন বাহির হইবে। তারাপুকুর হইতে সরস্বতী নদী পৰ্য্যন্ত খুব একটা চাটাল রাস্তা তৈয়ারী হুইয়াছে। সমস্ত রাস্ত গোবরগঙ্গাজলে ধুইয়া দেওয়া হইল। রাস্তার দুধারে কেবল ফুলের মালা বঁাশের ধাম হইতে বুলিতেছে ; রাস্তার উপর দিয়া ফুলের মালা বাঁশে ঝুলান। রাস্তার মাঝে মাঝে বিচিত্ৰ তোরণ। তোরণের উপর হইতে দিকুমালা চারিদিকে ছড়াইয়া ফরািফরু-শব্দে উড়িতে লাগিল। দিকমালাগুলি প্রায়ই সোলার পাতে তৈয়ারী, মাঝে মাঝে অভ্রের পাত লাগান। অভ্রের উপর যখন পড়ন্ত সূর্যের আলো পড়িল, তখন সে আলো নানা রঙ ধরিয়া চক্ষু ঝলসাইয়া দিল । দিকমালার মাঝে মাঝে কিঙ্কিণীমালা, দিকমালা যতটা লম্বা, সে মালাও ততখানি লম্বা । বাতাসে ছোট ছোট ঘূক্তযুদ্রগুলি দুলিতেছে, আর ঝুনঝুন ঝুনঝুন শব্দ হইতেছে। মাঝে মাঝে বড় বড় ধ্ববাজার উপর নানা-রকমের, নানা-রঙের, নানা-আকারের পতাকা পত-পাত শব্দে উড়িতেছে ; কোনটি তেকোণা, মুখে ঝালর দেওয়া, সমস্তটাই রেশমের তৈয়ারী ; কোনটি চৌকণা, সামনে ও নীচে ঝালর কােপাসের জমির উপর রেশমের কাজ-করা ; কোনটি ছালের Vy