পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিকাইয়া দিল,"ত্মাহার পর ঝাড় দিল, তাহার পর কয়েকটি বালান্দা পরগণার মাদুর বিছাইল, মাদুরের উপর একখানি সতরঞ্চ বিছাইল, সতরঞ্চের উপর একখানি গালিচা বিছাইল, গালিচার মাঝখানে একখানি পিতলের কোণ-লাগান পিড়ি কাৎ করিয়া দিল, আর তাহার' নীচে উৎকৃষ্ট রেশমের ছোট একখানি গাদী পাতিল, সেইখানে কতকগুলি খুব মিহি মাজ ও পাকান তালপাতা, একটি দোয়াত ও কলম রাখিল ও সেখান হইতে চলিয়া গেল । [ R ] কিছুক্ষণ পরে ভবানীর মন্দির হইতে একজন সুপুরুষ বাহির হইলেন। তাহার দেহ বেশ দীর্ঘচ্ছন্দ। রঙটি দুধে আলতার মত । মুখটি প্ৰসন্ন, তিলফুলের মত নাকটি, চোখ দুটি পটলচেরা, কপালে চন্দনের তিলক । অক্ষুট-স্বরে ভবানীর স্তব পাঠ করিতে করিতে মন্দির হইতে চণ্ডীমণ্ডপে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। পায়ে কাষ্ঠপাদুকা। ঠক্‌-ঠক্‌ শব্দ করিতেছে। বারান্দায় কাষ্ঠপাদুকা ত্যাগ করিয়া ব্ৰাহ্মণ গালিচার উপর দিয়া সেই ছোট রেশমের গদীটিতে বসিলেন এবং পিাড়িখানিতে ঠেসান দিয়া চক্ষু মুদ্রিত করিয়া কি ভাবিতে লাগিলেন ; কিন্তু তাহাকে বেশীক্ষণ ভাবিতে হইল না । তঁহার পদশব্দ শুনিয়াই যেন চারিদিক হইতে লোক আসিয়া চণ্ডীমণ্ডপের বারান্দা ভরিয়া গেল। সর্বপ্রথমে আসিলেন এক গৌরকান্তি পাতুল ব্ৰাহ্মণ । ইহঁর পৈতার খুব বাহার। সরু পৈতা, অনেক দন্তী, নিরন্তর পরিষ্কার করায় ধপূখপ করিতেছে, আর রোজ জীবলী আটা দিয়া মাজায় চক্‌চক্‌ করিতেছে। ইনি আসিয়াই বারান্দা হইতে গালিচায় উঠলেন, আর একেবারে গদীয় কাছে গিয়া বসিলেন । V