পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

=== - - - - e-u s = কোনটি ইটের কোঠা, কোনটি মাটিকোঠা । প্ৰত্যেক বাড়ীতেই এক একটি ‘বাতায়ন’-একটা গোল বারান্দা বাড়ী হইতে বাহির হইয়া রাস্তার উপর ঝুকিয়া পড়িয়াছে ; বারান্দায় অনেক জানালা, ইচ্ছা করিলে বন্ধ করিয়৷ দেওয়া যায়। সাতগা এর ধনী বণিকৃগণ বাড়ীর সম্মুখধার প্রাণপণে সাজাইয়াছে । বাড়ীর ভিতর যেখানে যে ছবি ছিল, বাহিরের দেওয়ালে লাগান হইয়াছে । ছবিগুলি লাগানের জন্য পঞ্চায়েক্ত বসিয়াছিল, পঞ্চায়েত সে ছবিখানি যেখানে যে ভাবে রাখিতে বলিয়াছিলেন, সেখানি সেইখানে সেইভাবেই ঝুলাইয়া দেওয়া হইয়াছে। কিন্তু সাতগা এর বড় রাস্তার বাহার ছবির বাহার ৩ নয়, বাতায়নে যুদ্ধতাদের মুখের বাহার। এক একটি বাতায়ন যেন এক একটি পুকুর, যেন শত শত পদ্ম ফুটিয়া ঘেঁসাঘেঁসি মেশামোশি করিয়া আছে। সে দিন বড় রাস্তার উপর দোকানপাট সব বন্ধ। বণিকেরা নূতন কাপড় পরিয়া, নূতন বেশভূষা করিয়া, আপন আপন দোকানের পাশে জটিল। করিতেছেন ; সমস্ত সহর তোলপাড় । কোন কোন বণিক দীপমালা সাজাইবার ব্যবস্থা করিতেছেন । বড় রাস্তার ধারে বৌদ্ধ-বিহারগুলির আজ অপুর্ব শ্ৰী । বিহারের যেখানে যা ভাল জিনিসটি ছিল, সব বাহিরে আনা হইয়াছে। বিহার-তোরণের সামনে পিতলের বড় বড় দীপগাছা রাখা হইয়াছে। এক একটি গাছায় ১০০। ১৫০ করিয়া প্ৰদীপ জ্বালান যাইতে পারে । রাস্তার উপরের দেওয়ালে শত শত নিশান টাঙ্গান হইয়াছে। নিশানের মধ্যে মধ্যে বৌদ্ধ-দেবদেবীর প্রতিমা ঘোরাল রঙে আঁকা আছে। এখন আর শুদ্ধ বুদ্ধ-ধৰ্ম্ম-সঙ্ঘতে চলে না ; এখন নানা দেবদেবীর মূৰ্ত্তি বৌদ্ধবিহারে আসিয়া পড়িয়াছে। ইহাদের মধ্যে গণেশ একটি প্রধান দেবতা । উপাসকের ইচ্ছা অনুসারে গণেশের হাত বাড়িতেও পারে, কমিতেও পারে । তিনি নীচের দিকে শেষ দুটি