পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৮৬
বেতালপঞ্চবিংশতি

দিব। রাজা মন্ত্রিবাক্যে নির্ভর করিয়া নিশ্চিন্ত হইয়া নব প্রণয়িনীর সহিত পরম সুখে কালযাপন করিতে লাগিলেন।

মন্ত্রী এক পুৰুষপ্রমাণ কাঞ্চনময়ী প্রতিমা নির্মাণ করাইয়া রত্নালঙ্কারে মণ্ডিত করিয়া নগরের চতুষ্পথে স্থাপন করিলেন এবং প্রচার করিয়া দিলেন যে ব্রাহ্মণ বলিদানার্থে দ্বাদশবর্ষীয় পুত্ত্র প্রদান করিবেন তিনি এই প্রতিমা প্রাপ্ত হইবেন।

নগরবাসী এক অতি দরিদ্র ব্রাহ্মণের দ্বাদশবর্ষীয় পুত্ত্র ছিল। ব্রাহ্মণ ঘোষণার বিষয় অবগত হইয়া ব্রাহ্মণীর নিকট কহিলেন দেখ নির্দ্ধন ব্যক্তির সংসারাশ্রমে বাস করা বিড়ম্বনামাত্র। ধনই ধর্ম্ম ও সুখের মূল। আমি জন্মদরিদ্র। চির কালের মধ্যে সাংসারিক কোন সুখের মুখ দেখিতে পাইলাম না। এক্ষণে ধনাগমের এই এক সহজ উপায় উপস্থিত। যদি তুমি মত কর পুত্ত্র দিয়া স্বর্ণময়ী প্রতিমা লইয়া আসি তাহা হইলে পরম সুখে কালযাপন করিতে পারিব।

ব্রাহ্মণী সম্মতা হইলেন। ব্রাহ্মণ পুত্ত্র দিয়া প্রতিমা লইয়া তদ্বিক্রয় দ্বারা ধনসংগ্রহ করিলেন। সপ্তম দিবস প্রত্যূষ সময়ে রাক্ষস সভায় আসিয়া রাজার সহিত সাক্ষাৎ করিবামাত্র মন্ত্রী দ্বাদশবর্ষীয় ব্রাহ্মণবালক ও তীক্ষ্ণধার খড়্গ আনিয়া রাজার সম্মুখে রাখিল। অনন্তর রাজা শিরশ্ছেদনার্থে খড়্গ উদ্যত করিলে ব্রাহ্মণবালক অধোমুখে ঈষৎ হাস্য