পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৭১
বেতালপঞ্চবিংশতি
৭১

ব্যাহারিণী হইয়া চলিল। নয়নানন্দ এই রূপে মহামূল্য অলঙ্কারসমূহ হস্তগত করিয়া ক্রমে ক্রমে অরণ্যের অতি নিবিড় ও অগম্য প্রদেশে প্রবেশ করিল এবং তাদৃশ পতিপরায়ণা হিতৈষিণী প্রণয়িনীকে অন্ধকূপে নিক্ষেপপূর্ব্বক পলায়ন করিয়া স্বদেশে উপস্থিত হইল। রত্নাবতী কূপে পতিত হইয়া হা তাত হ। মতঃ বলিয়া উচ্চৈঃ স্বরে রোদন করিতে লাগিল। দৈবযোগে এক পথিক তথায় উপস্থিত হইয়া তাদৃশ নিবিড় অরণ্যমধ্যে অসম্ভাবিত রোদনশব্দ শ্রবণ করিয়া অতিশয় বিস্ময়াপন্ন হইল এবং শব্দানুসারে গমন করিয়া কূপের সমীপবর্ত্তী হইয়া তন্মধ্যে দৃষ্টি নিক্ষেপপূর্ব্বক অবলোকন করিল এক পরম সুন্দরী নারী অশ্রুমুখী নানাপ্রকার বিলাপ করিতেছে। পথিক দর্শনমাত্র অতিমাত্র ব্যাকুল হইয়া সেই স্ত্রীরত্নকে পরম যত্নে কূপ হইতে উদ্ধার করিয়া জিজ্ঞাসা করিল তুমি কে কি নিমিত্ত একাকিনী এই ভয়ঙ্কর কাননে আসিয়াছিলে কি প্রকারেই বা তোমার ঈদৃশী দুর্দশা ঘটিল বল।

রত্নাবতী পতিনিন্দা অতি গর্হিত বুঝিয়া প্রকৃত ব্যাপার গোপনে রাখিয়া কহিল আমি চন্দ্রপুরনিবাসী হেমগুপ্ত শেঠের কন্যা। আমার নাম রত্নাবতী। আমি আপন পতির সহিত শ্বশুরালয়ে যাইতেছিলাম। এই স্থানে উপস্থিত