পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাংখ্য দর্শন । Yoዓ সাত্ম্যদর্শন যদিও প্রকৃতিকে সূক্ষ বলেন, তথাপি প্রকারাস্তরে র্তাহার দ্রব্য-শক্তিতা অর্থাৎ বস্তুত্ত্ব স্বীকার করিয়াছেন । কেন ন। তিনি কহেন যে, মূল উপাদান কারণ যে প্রকৃতি তাহাতে দ্রব্যত্বের অভাব হইলে তৎসস্তৃত এই প্রত্যক্ষ জগৎ অদ্রব্য স্থতরাং মিথ্যা হইয়া যায়। কিন্তু এই জগৎ কেবল দ্রব্যেরই সমষ্টি, স্থতরাং সূক্ষ্য বস্তু-শক্তি-বিশিষ্ট মূল-প্রকৃতি-সস্তৃত । অর্থাৎ জগৎ মিথ্যা নহে কিন্তু সত্য। “মাবস্তুনোবস্তুসিদ্ধিঃ” যাহা বস্তু নহে, তাহা হইতে বস্তু উৎপন্ন হইতে পারে না । J -- যখন বস্তুবৃত্তিসম্পন্ন জগৎ আছে তখন তাহার উপাদুন প্রকৃতিও বস্তুগুণের আধার গ্রু (কঃ সূঃ ১৭৮) ৫১। প্রকৃতি হইতে যেমন নানাবিধ জড়পদার্থ স্থষ্টি হইয়াছে সেইরূপ পঞ্চভূতের যোগে জীবের নিমিত্তে হস্ত পদাদি বিশিষ্ট স্থল দেহসকলও উৎপন্ন হইয়াছে। স্থল দেহ ব্যতীত প্রত্যেক পুরুষের এক এক সূক্ষ দেহ আছে। “মাতাপিতৃজং স্থলং প্রায়শইতরম্ন তথা ।” স্থল শরীর প্রায়ই মাতা পিতার যোগ-সম্পাদ্য, কিন্তু সূক্ষ দেহ তদ্রুপ নহে। (কঃ সূঃ ৩৭)। এই উভয় প্রকার শরীরের অব্যবহিত উপাদান প্রাগুক্ত ত্রয়োবিংশতি তত্ত্ব। প্রকৃতি তাহার আধার এবং পুরুষ তাহার আধেয় এবং ভোক্তা । পুরুষ স্থল শরীরের দ্বারা ইহলোকে কৰ্ম্ম করেন। সেই স্থল শরীরের স্থখ দুঃখ বোধ নাই। স্থখ দুঃখ কেবল সূক্ষ দেহ * সাঙ্খ্য ইন্দ্রিয়গণকে যদিও অভৌতিক বলিয়াছেন, তথাপি প্রকৃতি স্বাক্ষরূপে দ্রব্যশক্তিযুক্ত হওয়াতে তৎসভূত ইন্দ্রিয়াদি সকল পদার্থই দ্রব্য-ধাতুযুক্ত হইতেছে। সুতরাং তাহাতে পঞ্চতন্মাত্র নামক স্বল্প ভূতগণের সংস্পর্শ থাকা কিরূপে অস্বীকার করা যায় ? এজন্য বেদাস্ত দর্শন সঙ্গীতরূপেই ইন্দ্রিয়গণকে ভূতজ বলিয়াছেন। আমার “স্থষ্টি” গ্রন্থে স্বাক্ষ শরীরাধ্যায় দেখহ।