পাতা:বেদ মানিব কেন?.pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বেদ মানিব কেন?

ইহাদের প্রত্যেকের আবার দুইটা করিয়া ভাগ আছে; যথা—একটী ভাগের নাম মন্ত্র বা সংহিতা এবং অপর ভাগের নাম ব্রাহ্মণ। ব্রাহ্মণ ভাগের মধ্যে উক্ত মন্ত্র বা সংহিতা ভাগের অর্থ ও প্রয়োগপ্রভৃতি বর্ণিত হইয়াছে। এজন্য ব্রাহ্মণ ভাগকে সংহিতা বা মন্ত্র ভাগের ব্যাখ্যাবিশেষ বলা হয়। উভয়ই বেদপদবাচ্য, উভয়ই অনাদি, নিত্য, অভ্রান্ত ও অপৌরুষেয় অর্থাৎ পুরুষ রচিত নহে, সুতরাং ভ্রমপ্রমাদাদি পুরুষদোষবিহীন এবং উভয়ই স্বতঃপ্রমাণ, অর্থাৎ ইহাদের সত্যতা অপর প্রমাণকে অপেক্ষা করে না। বস্তুতঃ ইহাই বেদ মানিবার কারণ। এই জন্যই আমাদিগকে বেদ মানিতে হয়।

বেদকে নিত্য অপৌরুষেয় প্রভৃতি বলিবার কাবণ,—বেদ অর্থবদ্ধ বর্ণাত্মক শব্দরাশি। বর্ণাত্মক শব্দ ও তাহার অর্থের সহিত তাহার সম্বন্ধ না শিখিলে মানব তাহা স্বয়ং আবিষ্কার করিতে পারে না। ইহা পরীক্ষার দ্বারাও স্থিরীকৃত হইয়াছে।

ইটালি রাজ্যের রাজধানী রোমনগর-নির্ম্মাণকারী রুমাস ও রোমিউলাস, ভাগ্যবৈগুণ্যবশতঃ শিশুকালে অরণ্যমধ্যে এক ব্যাঘ্রীকর্ত্তৃক পালিত হন। মানবীয় ভাষা শিক্ষার অভাবে তাঁহাদের ভাষাকথনযোগ্য বয়ঃপ্রাপ্তি হইলেও