পাতা:বৈকুণ্ঠের খাতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তৃতীয় দৃশ্য৷
৩৯

 কেদার। ওর নাম কি, আমিই তাঁকে ডেকে খুব করে ভর্ৎসনা করে দিচ্চি—

 বৈকুণ্ঠ। না না কেদার বাবু, সে করবেন না— লেখার সময় গান ত আমার ভালই লাগে। কিন্তু আমি ভাবছিলুম হয় ত আর কোনো ঘরে বেণী বাবু একলা থাক্‌লে বেশ মন খুলে গাইতে পারেন।

 কেদার। ওর নাম কি—ঠিক উল্টো! বিপিন বাবুর একটি লোক সর্ব্বদাই চাই—

 বৈকুণ্ঠ। তা দেখেছি—বড় মিশুক্—হয় গান, নয় গল্প, করচেন্‌ই—তা আমি তাঁর কথা মন দিয়ে শুনে থাকি!— কিন্তু দেখ কেদার বাবু— কিছু মনে কোরো না ভাই—একটা বড় গুরুতর বেদনা পেয়েছি, সে কথা তোমাকে না বলে থাক্‌তে পাচ্চিনে। ভাই আমার সেই স্বরসূত্রসার পুঁথিখানি কে নিয়েছে!

 কেদার। কোথায় ছিল বলুন্ দেখি!

 বৈকুণ্ঠ। সে ত আপনি জানেন। এই ঘরে ঐ শেল্‌ফের উপর ছিল। আজকাল এঘরে সর্ব্বদা লোক আনাগোনা করচেন আমি কাউকে কিছুই বল্‌তে পারচিনে——কিন্তু শেল্‌ফের ঐ জায়গাটা শূন্য দেখচি আর মনে হচ্চে আমার বুকের ক’খানা পাঁজর খালি হয়ে গেছে!

 কেদার। তবে আপনাকে—ওর নাম কি—খুলে বলি— অবিনাশ আপনার লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে যায়!