32 a বৈজ্ঞানিক-জীবনী গিয়াছেন যে, যে বিষয়ে গবেষণা করিতে হইবে, সেই বিষয়ে একেবারে; অনন্তমনা হইতে না পারিলে আশামুরূপ ফল প্রাপ্তি ঘটে না। তিনি তাহার স্বভাবসিদ্ধ একাগ্রত সহকারে আলোকপ্লাস্ত্রের কয়েকটি আবিষ্কার লইয়। এই কয় বৎসর যাপন করিয়াছিলেন। রামধন্থর বিচিত্র বর্ণ দেখিয়াছেন ত ? কিন্তু ঐ বিচিত্র বর্ণ কেমন করিয়া হয় ? সপ্তদশ খৃষ্টাব্দে এনটনিও ডমিনিস নামক একজন ইটালিয় ধৰ্ম্মযাজক সৰ্ব্বপ্রথমে রামধন্থর বর্ণের সঠিক বৈজ্ঞানিক ব্যাখা করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন। তিনি বলিয়া গিয়াছেন যে স্বৰ্য্যকিরণ জলবিন্দুর উপর প্রতিভাত হইয়া রামধন্থর স্বষ্টি করিয়া থাকে। তাহার পর ডেকাটে দেখাইয়াছিলেন যে স্বৰ্য্য-কিরণ একটি ত্রিশিরা (prism ) কাচের মধ্য দিয়া ধাইলে রামধন্থর দ্যায় বিচিত্র বর্ণ উৎপাদন করে। কিন্তু নিউটনের পূৰ্ব্বে কেহই স্থির করিতে পারেন নাই যে কেন এবং কিরূপে এইরূপ বিচিত্র বর্ণের উদ্ভব হইয়৷ 对比夺目 নিউটন একটি অন্ধকার ঘরের জানলায় একটি গোল ছিদ্র করিয়া তন্মধ্য দিয়া স্বৰ্য্যরশ্মি আনয়ন করিয়া একটি ত্রিশির কাচের মধ্যে প্রেরণ করিয়া দেখিলেন যে অপর দিকস্থ একটি পূর্দার উপর একটি লম্বী রামধন্থর বিচিত্র বর্ণশিশিষ্ট বর্ণচত্র (spectrum) শোভা পাইতেছে। সেই বর্ণছত্রে তিনি সাতটি রং উপরি উপরি দেখিতে পাইলেন—সৰ্ব্বনিয়ে লাল, তাহার উপরে কমললেবুর রং, তাহার উপর হরিদ্রার রং, সবুজ রং, নীল রং, গাঢ় নীল, সৰ্ব্বোপরি বেগুনে রং । বাস্তবিক বর্ণছত্র যে ঠিক সাতটি রঙ্গের সমবায় তাহা নহুে-অসংখ্য রং উহাতে আছে,
পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/১৪৫
অবয়ব