পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈজ্ঞানিক জীলনী ছিল, সেই যুগে ধন্যন্তরিশিষ্য স্বশ্ৰুত আধিভূত হইয়াছিলেন। চায় ! মহর্ষি বড় আশা করিয়া লিখিয়া গিয়াছেন “কুশলেনাভিপন্নং তদ বহুধাভিপ্ররোঙ্গতি”--র্তাহার সে আশা ফলবতী হয় নাই। ভারতের অদৃষ্ট দেবতার বৈগুণো তিনি যে বীজ রোপণ করিয়া গিয়াছিলেন তাঙ্গ অঙ্কুরিত না হইয়াই অকালে শুকাইয়া গিয়াছে। প্রায় দ্বিসহস্ৰ বৎসর পরে যপন হিন্দুসন্তান আবার মৃত্র শরীর লালচ্ছেদের জন্ত অস্ত্ৰধারণ করাতে ইংরাজের বিজয়ন্তের্গ ঈষ্টতে মহানন্দসূচক তোপধ্বনি হইয়াছিল, এবং তজ্জন্য সেই ভাগ্যবান সবক স্বৰ্গলষ্ট দেবতা প্রমে পূজিত হঠয়াছিল জানি না হিন্দুর চিন্তাশক্তির অধোগতির এই জ্বলন্ত উদাহরণ স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করিলে মহৰ্ষি স্ত এন্তের হৃদয় ক্ষোভে ও অপমানে ফাটিয়া যাঙ্গত fক না । শারীরবিদ্যার উৎপত্তি । সুশ্রুত সংহিতায় যে উন্নত শারীরবিদ্যা ও অস্ত্রচিকিৎসার পরিচয় পাই তাঙ্গর উৎপত্তি বৈদিক সহিত্যে। যেমন অথৰ্ব্ববেদ কায়চিকিৎসার আদি গ্রন্থ, সেইরূপ সমবেদ অস্ত্রচিকিৎসার উৎপত্তিস্থলী বৈদিক কালে বিবিধ পশুযাগযজ্ঞে নিষ্ঠত পশুর বিবিধ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ভিন্ন ভিন্ন দেবতার উদ্দেশ্যে অর্পণ করা স্তষ্টত। “নিহত পশুর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ শাসনামক ছুরিকা দ্বারা কাটিয়া পৃথক করা হইত। যে বাক্তি এই কৰ্ম্ম করিত তাঙ্গার নাম শর্মিত। যজ্ঞভূমির সংলগ্ন যে স্থানে এই কৰ্ম্ম নিম্পাদিত ইষ্টত সেই স্থানের নাম শামিত্র দেশ। সেইখানেই অগ্নি জালিয়া পশুর অঙ্গপ্রতাঙ্গ পাক করা হইত। যে অগ্নিতে পাক তুষ্টত, তাঙ্গর