পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্য্যভট্ট >○○ পৃথিবী গোলাকার ও শূন্যে অবস্থিত। পৃথিবীর আকারের স্বরূপ নির্ণয় করিবার আকাঙ্ক্ষা স্বভাবতঃই মানব মনকে উৎসাহিত করে । সাধারণের চক্ষে পৃথিবী সমতলক্ষেত্র কিন্তু প্রাচীনকাল হইতে হিন্দুগণ পৃথিবীকে গোলাকার বলিয়া স্বীকার করিয়া আসিয়াছেন। ঋগ্বেদে কোনও কোনও স্বত্তে পৃথিবীর গোলত্বের আভাস পাওয়া যায়, এমন কি পৃথিবী ষে অবলম্বন শূন্ত হইয়া শূন্তে অবস্থিতি করিতেছে তাহার স্বচনাও ঋগ্বেদে মিলে। আর্য্যভট্ট অবগু পৃথিবীর গোলত্ব (Sphere ) ও অবলম্বন শূন্ত হইয়া আকাশে অবস্থিতি—এই দুইই স্বীকার করিয়াছেন। পৃথিবীর শূন্তে অবস্থিতি স্বীকার করিলে স্বতঃই প্রশ্ন উঠে, যদি বাস্তবিকই পৃথিবী নিরাবলম্বন, তবে বৃক্ষলতা, জীবজন্তু, পাঙ্গড় পৰ্ব্বত পৃথিবীর উপর দাড়াইয়া আছে কিরূপে। তাহার উত্তরে আর্যভট্ট বলিয়াছেন যে গোল কদম্ব পুষ্পের উপরের গ্রন্থিগুলি যেমন পুষ্পের উপর আটকাইয়া আছে, সেইরূপ গোল পৃথিবীর উপর জলজ স্থলজ পদার্থ অবস্থান করিতেছে। * বরাহ, ভাস্কর প্রভৃতি পরবর্তী সকল জ্যোতিষীই পৃথিবীর গোলত্ব ও শূন্তে অবস্থিতি স্বীকার করিয়াছেন। একটা প্রশ্ন উঠতে পাৱে —পৃথিবী যদি শূন্তে অবস্থিত, তবে পড়িয়া যায় না কেন? তাহার সুন্দর উত্তর ভাস্কর দিয়াছেন “পৃথিবীর চারিদিকেই সমান আকাশ, উহা পড়িবে কোথায় ?”

  • বদ্বৎ কদম্বপুপগ্রস্থিঃ প্রচিতঃ সমস্তুতঃ কুকুমৈঃ। তদ্ধদ্ধি সৰ্ব্বসত্ত্বজলজৈঃ স্থলজৈশ্চ ভূগোলঃ ॥