পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিংশ অধ্যায় আচার্য্যের ঐশ্বৰ্য্য-প্রকাশ-লীলা একদা ঈশ্বরদেব-নামক জনৈক ভূপতি একটি সরোবর খনন করাইবার ইচ্ছা করিয়াছিলেন । তিনি রাজ্য-মধ্যে ঘোষণা করিলেন যে, প্রত্যেক পথিককে কোন নির্দিষ্ট পথ দিয়া যাতায়াতের সময় ঐ সরোবর খনন করিয়া যাইতে হইবে । পথিকগণের শ্রমফলেই অর্থাৎ নিজের কোন অর্থ ব্যয় না করিয়া একটি সুবৃহৎ সরোবর খনন-পূর্বক আত্মমহত্ত্বপ্রচারই ঐ নৃপতির উদ্দেশু ছিল । সেই সময় পরিব্রাজকাচাৰ্য্যবৰ্ঘ্য শ্ৰীমধব র্তাহার বাণী-প্রচারার্থ দেশান্তরে গমনকালে সেইপথ অতিক্রম করিতেছিলেন । পুৰ্ব্বকথিত নরপতি অন্তান্ত পথিকগণের ন্যায় শ্রমধবাচার্য্যকেও রাজাজ্ঞ। পালন করিতে বলিলেন । তত্ত্তরে মধবাচার্য বলিলেন যে, তিনি খণনকার্য্যে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ ; তবে যদি রাজ তাহকে নিজহস্তে খনন-প্রণালী একবার শখাইয় দেন, তাহ হইলেই তিনি অতি দ্রুতবেগে একাকীই ঐ সরোবর নন করিয়া দিতে পরিবেন । রাজ। ঈশ্বরদেব শ্ৰীমধবকে খনন-প্রণালী শক্ষা দিবার জন্ত স্বয়ং খনন আরম্ভ করিলেন । কিন্তু বায়ুর অবতাব শ্ৰীমধবদেব এমন এক ঐশ্বৰ্য্য প্রকাশ করিলেন যে, ঈশ্বরদেব ক্রমাগত ননই করিতে থাকিলেন, আর কিছুতেই তাহা হইতে বিরত হইতে পরিলেন না । ঈশ্বরদেবের প্রীমধবকে স্বহস্তে সরোবর-খননার্থ আদেশ