পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাবিংশ অধ্যায়—শ্ৰীব্ৰহ্ম-মাঞ্চ-গৌড়ীয় সম্প্রদায় “শ্ৰীল শ্রীজীবগোস্বামী আঞ্চবাক্যের প্রমাণত্ব স্থির করিয়া পুরাণশাস্ত্রের তদ্ধৰ্ম্মত্ব নিরূপণপূর্বক শ্ৰীমদ্ভাগবতের সর্বপ্রমাণশ্রেষ্ঠত্ব স্থাপন করিয়াছেন। যে লক্ষণ-দ্বারা ভাগবতের শ্রেষ্ঠত্ব স্থাপন করিয়াছেন, সেই লক্ষণ-দ্বারা ব্ৰহ্মা, নারদ, ব্যাস ও তৎসহ শুকদেব ও ক্রমে বিজয়ধ্বজ, ব্রহ্মণ্যতীর্থ, ব্যাসতীর্থ প্রভৃতির তত্ত্বগুরু—শ্ৰীমন্মধবাচাৰ্য্যপ্রমিত শাস্ত্রনিচয়ের উল্লেখ করিয়াছেন। এই সমস্ত বাক্যের দ্বারা স্পষ্ট প্রতীত হয় যে, শ্ৰীব্রহ্মসম্প্রদায়ই শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্তদাসদিগের গুরুপ্রণালী। শ্ৰীকবিকর্ণপুর গোস্বামী এই অনুসারে দৃঢ় করিয়া স্বকৃত গৌরগণোদেশ দীপিকায় গুরুপ্রণালীর ক্রম লিখিয়াছেন। বেদান্তস্বত্র-ভাষ্যকার শ্ৰীল বিদ্যাভূষণও সেই প্রণালীকে স্থির রাখিয়াছেন। যাহার এই প্রণালীকে অস্বীকার করেন, তাহারা যে শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্য-চরণামুচরগণের প্রধান শক্র, ইহাতে আর সন্দেহ কি ?” * “নিম্বার্কমতে যে ভেদাভেদ অর্থাৎ দ্বৈতাদ্বৈতমত, তাহ পূর্ণতা লাভ করে নাই। শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর শিক্ষা লাভ করিয়া বৈষ্ণবজগৎ সেই মতের পূর্ণতাকে পাইয়াছেন। শ্ৰীমধ্বমতে যে সচ্চিদানন্দ নিত্য-বিগ্রহের স্বীকার আছে, তাহাই এই অচিন্তাভেদাভেদের মূল বলিয়া শ্ৰীমন্মহাপ্রভু মধ্বসম্প্রদায় 7দ্ধান্তিত . عيسسخص মতসকলে একটু একটু বৈজ্ঞানিক সমতার অভাব থাকায় তাহদের পরস্পর বৈজ্ঞানিক ভেদে সম্প্রদায়ভেদ হইয়াছে। সাক্ষাৎ পরতৰ ঐচৈতন্তমহাপ্ৰভু স্বীয় সৰ্ব্বজ্ঞতাবলে সেই সমস্ত মতের অভাব পূরণ করত ঐমধ্বের সচ্চিদানন্দ নিত্য-বিগহ, ঐরামানুজের শক্তিসিদ্ধান্ত, ঐবিষ্ণু শ্রীচৈতন্তানুগগণের গুরুপ্রণালী স্ত্রীচৈতন্থ মধ্বসম্প্রদায় স্বীকার করিলেন 鲁 কেন ?

  • জীল ভক্তিবিনোদ-ঠাকুর-কুত “শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর শিক্ষা" ১১ পৃ:

[ २8७ ] இ