পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম অধ্যায় আচার্য্যের অভু্যদয়-কাল-নির্ণয় মধবাচার্য্যের আবির্ভাব-কাল সম্বন্ধে বহু মতভেদ দৃষ্ট হয় । তত্ত্ববাদিগণ বলেন যে, শ্ৰীমন্মধবাচার্য্যের সাক্ষাৎ শিষ্য শ্রীহৃষীকেশতীর্থ মহাভারত-তাৎপৰ্য্যধৃত বাক্য হইতে শ্ৰীমন্মধবাচার্য্যের আবির্ভাব-কাল বিষয়ে যেরূপ নির্দেশ করিয়াছেন, তাছাই স্থির সিদ্ধান্ত । মহাভারতীয় শান্তিপর্বের মোক্ষধৰ্ম্মে 酪 ভীষ্ম পঞ্চপাণ্ডবকে বলিয়াছিলেন যে, কলিযুগে চতুঃসহস্র বর্ষের পর পাণ্ডবগণের পুনরায় জগতে আবির্ভাব হইবে । এই ভীষ্মোক্তি অবলম্বনে ভারত-তাৎপৰ্য্য-নির্ণয়ে এইরূপ मृठे झब्र,— “চতুঃসহস্ৰে ত্রিশতোত্তরে গতে সংবৎসরণাস্ত কলে পৃথিব্যাম্। জাতঃ পুনঃ বিপ্রতনু স ভীমে দৈতৈর্নিগৃঢ়ং হরিতত্ত্বমাহ ।” —কলিযুগে ত্রিশতোত্তর চতুঃসহস্র (৪৩• •) সংবৎসর অতীত হইলে পৃথিবীতে পুনরায় ভীমসেন বিপ্রতনুরূপে অবতীর্ণ হইয়া জগতে দৈত্যকর্তৃক আচ্ছাদিত বিষ্ণুতত্ত্ব প্রচার করিয়াছেন। এই বাক্য অবলম্বন করিয়া শ্ৰীমন্মধবাচার্য্যের সাক্ষাৎ শিষ্য অষ্টমঠের অন্যতম “পলমার’ নামক আদি মঠের মূল মঠাধীশ শ্ৰীহৃষীকেশতীর্থ তন্দ্রচিত ‘অনুমধ্বচরিত’ গ্রন্থে এইরূপ লিখিয়াছেন,— বৰ্ত্তমান তত্ত্ববাদিগণের মত