পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯৩ ৷ কালক্রমে সুপ্রিয়ের পিতা প্রিয়সেন নিজ পুণ্যবলে স্বগৰ্গমন করিলে তাহার বাণিজ্য কাৰ্য্যভার সুপ্রিয়ের স্বন্ধে আশ্রয় করিল। ৪০ ৷ সুপ্রিয় মনে মনে চিন্ত করিলেন যে যদিও এই বিপুল সম্পত্তি আমার হস্তগত হইয়াছে, তথাপি আমি ইহা সকল অর্থিগণের মনোরথ পূরণে পৰ্য্যাপ্ত বলিয়া বোধ করি না । ৪১ ৷ যে সম্পদ পূৰ্ব্বাগত যাচকের ভূক্ত হওয়ায় শেষাগত যাচকের পক্ষে নিস্ফল হয়, এরূপ সুবিপুল সম্পত্তি সৎপুরুষের হস্তগত হওয়ার প্রয়োজন কি | ৪২ ৷ বিধাতা রত্নাকরের বিপুলত রথ স্থষ্টি করিয়াছেন ; যেহেতু রত্নাকর অদ্যাপি তদীয় অর্থ বাড়বের উদর পূর্ণ করিতে পরিলেন না । ৪৩ ৷ অথবা বিপুল আশাশালী যাচকের মনোরথ কেহই পূরণ করিতে পারে না। ভগবান অগস্ত্য সমুদ্রকেও একগণ্ডষে পান করিয়াছিলেন । ৪৪ ৷ কি করিব । ইহা অত্যন্তই দুঃখের বিষয় যে সম্পত্তি একটি এবং প্রার্থী বহুতর। এরূপ ধনসম্পদ কখনই পাওয়া যাইতে পারেন, যাহাদ্বারা সকল অর্থীর প্রার্থনা পূর্ণ হয়। ৪৫ ৷ রত্নাকর লক্ষী ও কৌস্তুভ প্রভৃতি দ্বারা পাঁচ ছয়টি মাত্র অর্থীর মনোরথ পূর্ণ করিয়াছেন। অন্যান্য বহুলোকেরই মনোরথ পূর্ণ করিতে পারেন নাই । এই জন্যই অদ্যাপি রত্নাকরের অস্তরে ( দুঃখময় ) বড়বাগ্নি প্রজ্বলিত রহিয়াছে । ৪৬ ৷ অতএব আমি যত্ব সহকারে অসংখ্য ধন অর্জন করিব। অর্থী বিমুখ হইয় দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাগ করিলে আমি উহা সহ্য করিতে পারি না । ৪৭ ৷ সুপ্রিয় মনে মনে এরূপ চিন্তা করিয়া বহুবণিক্‌ পরিবেষ্টিত হইয়