পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ s२१ } ভগবান এই কথা স্পষ্টরূপে আদেশ করিয়া নিজাশুমে গমন করিলে পর ভূরিক নামক ক্ষপণক ঐ গৃহস্থের বাটতে আসিয়াছিল ৮। ঐ ক্ষপণক সুভদ্রকথিত ভগবানের বাক্য শ্রবণ করিয়া সহসা বিদ্বেষবিষে আকুলিত হইয়াছিল এবং বহুক্ষণ গণনা করিয়া এবং গ্ৰহগণের স্থান পরিশ্রমপূৰ্ব্বক বিচার করিয়া ভগবান যাহা বলিয়াছেন তাহাই দেখিল । ৯-১০ । ক্ষপণক মনে মনে ভাবিল যে ভগবান সত্যই বলিয়াছেন, তাহাতে কোন সংশয় নাই ; কিন্তু আমি তাহার প্রভাব ক্ষুঃ করিবার জন্য অসত্য কথাই বলিব । ১১ ৷ সুভদ্র যদি আমার কথায় তাহার সর্বজ্ঞতা জানিতে পারে, তাহ হইলে শ্রমণের প্রতিই আদর করিবে ; ক্ষপণকদিগকে আর শ্রদ্ধা করিবে না। ১২ । । ক্ষপণক এইরূপ চিন্তা করিয়া ক্রোধসহকারে সুভদ্রকে বলিল, ষে সর্ববজ্ঞতাভিমান বশতঃ তিনি এটা মিথ্যা কথা বলিয়াছেন । ১৩ । মনুষ্য কিপ্রকারে দেবভোগ্য দিব্যসম্পদ লাভ করিবে । ইহার প্রব্রজ্য। কিন্তু সত্য বলিয়া বোধ হইতেছে, কিন্তু তিনি কিরূপে বুঝিলেন । ১৪ । যাহার ক্ষীণ ও ক্ষুধাৰ্ত্ত এবং যাহাদের অন্য কোন গতি নাই, তাহারাই স্থভিক্ষ শ্রমণত্রতের শরণাপন্ন হয় । ১৫ । আমি কিন্তু দেখিতেছি, যদি তুমি আমাদের কথা প্রমাণ বলিয়া মান, তাহা হইলে এই শিশুটি জন্মিয়াই বংশের সন্তাপজনক হইবে। ১৬ । ক্ষপণক এই কথা বলিয়া চলিয়া গেলে পর গৃহপতি বহুক্ষণ ভাবিয়া পরিশেষে গর্ভপাত করিবার চেষ্টা করিতে লাগিল । ১৭ । যখন দেখিল ঔষধি প্রয়োগেও গর্ভপাত হইল না, তখন সে নিভৃত স্থানে বলপূর্বক মর্দন করিয়া পত্নীকে বধ করিল। ১৮।