পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ) প্রকম্পবশতঃ তরল স্বন্দরী গুরুজন সম্মুখে ছিলেন বলিয়া যদিও ব্যজন ত্যাগপূর্বক যাইওনা একথা বলে নাই ও হস্তাঞ্চল গ্রহণ করে নাই, তথাপি পাদ দ্বারা ক্ষিতিতল খনন করিতে করিতে অলক্ষিত ভাবে আমাকে যে অবলোকন করিয়াছিল, তাহতেই নিষেধ করা হইয়াছিল এবং আমার মনও তাহতেই বদ্ধ করিয়াছে । ৪৪ ৷ হরিণলোচনা সুন্দর নিশ্চয়ই মদ্বিযুক্ত হইয়া পুলিনে চক্রবাকীর ন্যায় একাকিনী হৰ্ম্ম্যে শয়ন করে না এবং সতত শোকে প্রলাপ করিয়া থাকে । হা প্রিয়ে, আমি ধৰ্ত্তের ন্যায় তোমার চিত্ত চুরি করিয়া কেবল সত্য ত্যাগ পূর্বক এই মিথ্যাব্রত আশ্রয় করিয়াছি। ৪৬। আমি এই ব্ৰত ত্যাগ করিয়া দয়িতার নিকট গমন করিব। যাহারা অনুরাগাগ্নি দ্বারা সন্তপ্ত, তাহদের পক্ষে তপস্যার তাপ অতি দুঃসহ। ৪৭ ৷ রাজপুত্রী আমাকে বহুকাল পরে সমাগত ও নৃশংস অবলোকন করিয়া নবজাত ক্রোধে কি করিবে জানিনা । ৪৮ । প্রেমবশতঃ দুঃসহ নিকার সর্বত্র বিকারজনক হয় না। কিন্তু স্নেহমধ্যে লীন কণামাত্র রজোগুণও জুনিবার হয় । ৪৯ । যখনই আমি দেখিব যে ভগবান এই বন হইতে অন্যত্র গিয়াছেন, তখনই আমি গৃহে গমন করিব । ইহাই আমার স্থির নিশ্চয় । ৫০ । এই শিলাপটেই রুচির গিরিধাতু দ্বারা শশিমুখী দয়িতার চিত্র অঙ্কন করি। ইহাতেই আমি ধৈর্য্য লাভ করিব । ৫১ ৷ অথবা স্থধ কুবলয় ও ইন্দু যাহার সৌন্দর্ঘ্যের এক এক বিন্দু বলিয়া গণ্য, সেই পরম সুন্দরী প্রিয়াকে কিরূপে চিত্রে অঙ্কিত করিব । ৫২ ৷