পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ >१ } " من نهر " মহাযশস্বী শঙ্খপালের বংশের অম্বুরস্বরূপ আমার এই পুত্রটা বিনাশ করিবার জন্ত বিধাতা এই কঠিনকুঠার উদ্যত করিয়াছেন । ১১২ ৷ ফণিপতি, গরুড় কর্তৃক সর্পবংশ বিধ্বস্ত হইতেছে দেখিয়া উহাদিগকে রক্ষ করিবার জন্ত গরুড়ের সহিত একটা বন্দোবস্ত করিয়াছেন যে প্রত্যহ একটা করিয়া সর্প রক্তবস্ত্র চিহ্নিত করিয় তাহার ভক্ষণের জন্য পাঠাইবেন । তিনি যেন সৰ্পকুল নির্মুল না করেন । ১১৩ ৷ এই যে তুষারপর্বতের ন্তায় অদৃশুপার অস্থিরাশি দেখা যাইতেছে ইহা সমস্তই ভূক্তোঞ্জিত ফণিগণের অস্থিকঙ্কালরাশি । ১১৪ ৷ অদ্য বারক্রমানুসারে মদীয় পুত্র রক্তবস্ত্র ও আজ্ঞাপত্র গ্রহণ করিয়! গরুড়ের নিকটে গমন করিতেছে । এখনই গরুড় ইহাকে বিনাশ করিবে । ১১৫ ৷ সপমাত এইরূপ বলিলে পর তদীয় পুত্র তাহাকে আশ্বাস প্রদান করিলেন কিন্তু তিনি বস্ত্রাঞ্চলে পুত্রকে ধারণ করিয়া করুণস্বরে রোদন করিতে লাগিলেন ৷ ১১৬ ৷৷ “হ জগদ্ভূষণ শঙ্খচূড় ৷ বধ্যভূমিতে সাইবার জষ্ঠ কেন এত ত্বর করিতেছ।” সপমাতা এইরূপ বিলাপ করতঃ পুত্রের কণ্ঠ পারণ করিয়৷ তদীয় স্কন্ধে মুখ বিন্যাস করিয়! মোহপ্রাপ্ত হইলেন । ১১৭ ৷ দয়ার্দ্র রাজকুমার একবৎস! ধেনুর হার অতিকাতর সপমাতাকে লব্ধসংজ্ঞা দেখিয়া মনে মনে এই দুঃখের নিবারণোপায় চিন্তা করিতে লাগিলেন ৷ ১১৮ ৷৷ আহে । পতগরাজ গরুড়ের কি ক্র,রতম মলিন ব্যবহার যে প্রতিদিন নির্দয়ভাবে অন্তের শরীরের দ্বারা নিজশরীর পরিপুষ্ট করে । ১১৯ ৷৷ সৰ্পমাত পুত্রবিরহিত হইয়। বিবৎস গাভীর দ্যায় কখনই জীবন ধারণ করবেন না । অতএব আমিই নিজদেহদানের দ্বারা সপকুমারকে রক্ষা করিব । ১২০ ৷ • রাজকুমার ক্ষণকাল এইরূপ চিন্ত করিয়া সপমাতাকে বললেন মাতঃ ! তুমি পুত্রের সহিত নিজ ভূমিতে গমন কর । আমি বধ্যভূমিতে যাইতেছি রক্তবস্ত্র চিহ্নটা অামায় দাও । ১২১ ৷৷ রাজকুমার এই কথা বলিলে পর কম্পিতকলেবর সপমাত তাহকে বলিলেন । আপনি এরূপ বিরুদ্ধ কথা বলিবেন না। আপনি শঙ্খচূড় অপেক্ষায়ও আমার অধিক প্রিয় পাত্র । ১২২ ৷৷