পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| ७२ | অনন্তর সাতদিন যাবৎ করিণীর সহ যথেচ্ছ বিহার করিয়া শারীরিক শান্তি সম্পাদন করতঃ স্বয়ং আসিয়াই বন্ধনস্তস্তের নিকট দাড়াইল। ৪৮ । মহামাত্র সংযত স্বয়মাগত হস্তকে দেখিয়া নিজেরই শিক্ষার কৌশল জ্ঞান করিলেন ও অতিশয় হর্ষান্ধিত হইয়া রাজার নিকট নিবেদন করিলেন । ৪৯ । যে হস্তী অনুরাগজালে আকৃষ্ট ও অত্যন্ত কামাতুর হইয়া চলিয়৷ গিয়াছিল, সে আমার শিক্ষাপ্রভাবে স্বয়ং আসিয়াছে । ৫০ । শল্লকীভূমির রসজ্ঞ সেই হস্তীটা এখন আমার সঙ্কেতের বাধ্য ও অত্যন্ত বশীভূত হইয়াছে। এখন এতদূর বিনীত হইয়াছে যে তপ্ত লৌহশলাকা গ্রহণ করিতে বলিলেও গ্রহণ করে । ৫১ ৷ এই হস্তী কামরসার্কুষ্ট হইয়াই বিকার প্রাপ্ত হইয়াছিল। অধুনা ইহার মদনজুর প্রশান্ত হইয়াছে এবং হস্তী পুনরায় প্রকৃতিস্থ হইয়াছে। ৫২ ৷ মহারাজ, সিংহ ব্যাঘ্র ও গজ প্রভৃতি হিংস্ৰ জন্তুগণকে দমন করা যাইতে পারে। পরস্তু রাগমদমত্ত ও বিষয়স্থখাভিমুখ মনকে দমন করা যায় না । ৫৩ ৷ রাজা সংঘাতের এইরূপ বাক্য শুনিয়া মনে মনে আলোচনা পূর্বক বলিলেন, সংঘাত, তুমি সত্য ও উচিত কথাই বলিয়াছ । ৫৪ ৷ ইহ জগতে কি এরূপ কোনও লোক আছে যে চিত্তরূপ মত্তহস্তীকে প্রশমস্বভাবদ্বারা সংঘমরূপ বন্ধনস্তন্তে বদ্ধ করিতে পারিয়াছে । ৫৫ ৷ রাজা এই কথা বলিলে পর দেবতাধিষ্ঠিত মহামাত্র সংযাত বলিলেন, মহারাজ, জগতের ক্লেশরাশি নিঃশেষরূপে উন্মুলন করিবার জন্য অনেক মহাপুরুষ উদ্যত আছেন । ৫৬ ৷ র্যাহারা বিবেকালোকে আলোকিত, বৈরাগ্যে অতিশয় আগ্রহবান, শান্তি ও সন্তোষে বিশদ এবং প্রকৃষ্ট জ্ঞানবান, তাহাদিগকে বুদ্ধ বলা হয় । ৫৭ ৷