পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাহীক মুনি এই কথা বলিলে রাজা মনে মনে দয়ি তাবিরহজনিত বেদন সম্যকরূপে স্তম্ভিত করিয়া ধৈর্য্যাবলম্বনপূর্বক তাহাকে বলিলেন । ৮৮ ৷ মুনিৰ্বর, আমি আপনার অভীপিত গুরুদক্ষিণ প্রদান করিতেছি। আমার জীবনাধিক প্রিয়তমাকে যুবরাজের সহিত প্রদান করিলাম । ৮৯ ৷ রাজা এই বলিয়া সপুত্র পদ্মাবতীকে মুনির পরিচর্য্যার্থে দাম করিলেন। সত্ত্বময় মহাত্মগণের দান এইরূপই নিজ জীবনের প্রতি নিঃস্নেহ হয়। ৯০ ৷ বাহীক মুনিও বিরহক্লেশে কাতর। সপুত্র রাজমহিষীকে গ্রহণ করিয়া আশ্রমে গমন পূর্বক গুরুকে দান করিলেন। ৯১ ৷ ইত্যবসরে বলদৃপ্ত কুরুরাজ দুষ্প্রসহ দূতমুখে রাজার নিকট ঐ ভদ্রগিরিনামক গজট প্রার্থনা করিলেন । ৯২ ৷ রাজা মণিচুড় গজট পুরোহিতকে অর্পণ করিয়াছেন বিবেচনায় উহা দিলেন না। তখন প্রসহ বিপুল সৈন্য সহকারে যুদ্ধার্থে উপস্থিত হইলেন । ৯৩ ৷ বলবান কুরুরাজ নগরের মাৰ্গসকল রোধ করিলে পর মণিচূড়ের সৈন্যগণও রণরঙ্গে উন্মত্ত হইয়াছিল । ৯৪ ৷ বীরকুঞ্জর রাজা মণিচূড় শক্রবিদারণে সমর্থ হইলেও লোকক্ষয় ভয়ে উদ্বিগ্ন হইয়া করুণাবশতঃ চিন্তা করিতে লাগিলেন । ৯৫ ৷ অহে রাজা দুষ্প্রসহ আমার পরম মিত্র ও অনুকূল অধুন। এই গজটার লোভে সহসা শক্র হইয়াছেন। ৯৬। স্বজনের স্নেহ চিরকালই থাকে ; মধ্যম লোকের স্নেহ শেষে বিলুপ্ত হয় ; এবং দুর্জনের স্নেহ পরিণামে ঘোর শক্রতায় পরিণত হইয়া প্রাণনাশক হয় । ৯৭।