পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ৬০ ] রাজা ছুষ্প্রসহ প্রজাগণের ভীষণ অাপদ উপস্থিত দেখিয়া অত্যন্ত অনুতপ্ত হইলেন এবং যাহা কিছু মঙ্গল কাৰ্য্য করিলেন তৎসমুদয়ই বিফল হইল দেখিয় কোনরূপেই পরিত্রাণ পাইবার উপায় খুজিয়া পাইলেন না । ১১৯ ৷ o রাজ দুষ্প্রসহ অমাত্যগণকে বিপদের প্রতীকারের কথা জিজ্ঞাসা করিলে তাহারা বলিয়াছিলেন, যে মহারাজ, প্রজাগণের এই বিপৎপাত বড়ই দুঃসহ। যদি রাজা মণিচূড়ের সুধাবৰ্ষী চূড়ামণিটা লাভ করা যায়, তাহা হইলে এ বিপদ হইতে উদ্ধার হয়। ১২০-১২১ ৷ আমরা চারমূখে শুনিয়াছি যে মহারাজ মণিচূড় সংসারে বিমুখ ও বিবেকদ্বারা বিমলাশয় হইয়া হিমবান পৰ্ব্বতের তটভূমিতে বাস করিতেছেন । ১২২ ৷ r ভূমণ্ডলে চিন্তামণিসদৃশ মহারাজ মণিচুড় প্রার্থিত হইলে নিশ্চয়ই র্তাহার মস্তক হইতে মণি দান কfরবেন । র্তাহার নিকট এমন কি শরীর পর্য্যন্ত অদেয় নাই । ১২৩ ৷ রাজা দুষ্প্রসহ মন্ত্রিগণের এইরূপ বাক্য শ্রবণ করিয়া তাহাই অবধারণ করিলেন এবং মণিপ্রার্থনাৰ্থে কয়েকট ব্রাহ্মণকে তাহার নিকট পাঠাইলেন । ১২৪ ৷ ইত্যবসরে রাজা মণিচূড় বনে বিচরণ করিতে করিতে মুনিবর মরীচির আশ্রমের নিকট উপস্থিত হইলেন । ১২৫। তথায় মুনির আজ্ঞানুসারে ফলমূলাশিনী ধৃতব্ৰতা পদ্মাবতী দেবী বিজন বনে ভীতভাবে গমন করিতেছেন, এমন সময় মৃগয়াপ্রসঙ্গে তথায় সমাগত শবরগণ র্তাহাকে দেখিয়া গ্রহণ করিতে ইচ্ছুক হওয়ায় তিনি কম্পমানকলেবর হইয়া করুণস্বরে রোদন করিতেছিলেন । ১২৬-১২৭ ৷ রাজা মণিচুড়, “হা মহারাজ মণিচুড়, রক্ষা কর” এইরূপ মৃদুঃসহ কুরঙ্গীকুজতসদৃশ সকরুণ রোদ ধ্বনি শ্রবণ করিয়া, সবেগে ধাবিত