পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ४8२ ] যেন বৰণময় প্রভাব-গৃহের স্তস্তদ্বয়ম্বরূপ । তিনি চরণচায়ারূপ চীবর দ্বারা পৃথিবীকে আবৃত করিতেছেন। যেন উৎফুল্ল পদ্মগণের জীবন দ্বারা তাহার চরণছায় রচিত হইয়াছে বোধ হয়। নয়নামৃত তদীয় দেহকান্তি দ্বারা যেন তিনি সজ্জনগণের সংসাররূপ মরুভূমির সন্তাপ বারণ করিতেছেন । ১৬—২১ । নাগনন্দন তাহাকে দেখিয়াই সন্তাপহীন হইলেন । মহাত্মগণের দর্শনে দৈহিক ও মানসিক সকল পীড়াই উপশান্ত হয় । ২২ । নাগকুমার পুষ্পাঞ্জলি বিকীর্ণ করিয়া তাহাকে প্রণাম করিলেন এবং তাহার পাদপদ্মম্পর্শে তৎক্ষণাৎ শীতল হইলেন । ২৩ । তৎপরে কৃতী নাগকুমার ভগবান হইতে শিক্ষাপদ লাভ করিয়া কৃতাঞ্জলিপুটে যাবজ্জীবন ভগবানের ভোগাধিবাসনা প্রার্থন করিলেন। ২৪ । ভগবান তাঙ্গকে বলিলেন যে, সকলেই আমার অনুগ্রহ-পাত্র : অতএব কেবল এক জনের যাবজ্জীবন অধিবাসন করা উচিত নহে । ২৫ । প্রণয়ী জনের প্রীতিসম্পাদনে সতত উদ্যত ভগবান এই কথা বলিয়া নাগকুমারের কামনা পূরণের জন্য প্রস্থিত হইলেন। ২৬। ভিক্ষুসঙ্ঘের অগ্রযায়ী হইয়া ভগবান যখন আসিতেছিলেন, তখন নাগকুমার প্রভাববলে স্থানে স্থানে স্বৰ্গশোভা বিধান করিলেন । ২৭ । তিনি স্থানে স্থানে সুবর্ণ ও রত্ন-কিরণে চিত্রিত, দিব্য উদ্যানে মনোহর, ভোগ্য বস্তু-সংগ্রহে ব্যস্ত দাস ও দাসীজন-পরিবৃত এবং কপূর ও চন্দন-নিৰ্ম্মিত মালাদ্বারা ভূষিত সুন্দর বিহার ভগবানের জন্য নিৰ্ম্মিত করিলেন । ২৮-২৯ । তৎপরে নাগকুমার করন্দকনিবাস নামক বেণুবনে উপস্থিত হইয়। সকল প্রকার ভোগসস্তার দ্বারা ভগবানকে পূজা করিলেন । ৩০ ।