পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| ८ १० ।। নাগরাজ মনে মনে এইরূপ নিশ্চয় করিয়া লুব্ধকের নিকটে গেলেন এবং নিজ বৃত্তাস্ত নিবেদন করিয়া বন্ধন হইতে রক্ষা প্রার্থনা করিলেন । ৪৯ । নাগরাজ সাধককে বধ করিবার জন্যই প্রার্থনা করিলেন । ধনুৰ্দ্ধারী লুব্ধক সেই স্থানে আসিয়া সাধককে মন্ত্রধ্যানে নিশ্চল দেখিতে পাইলেন । ৫০ । ইত্যবসরে সাধক অগ্নিতে আহুতি দিয়া নগরাজের বন্ধনে উৎসুক হইয়া নাগরাজকে আকর্ষণ করিল। ৫১ ৷ ফণিপতি মন্ত্রবলে আকৃষ্ট হইলে তদীয় বাসস্থান জলাশয় হইতে সশব্দ বুদ্ধ,দ উত্থিত হইতে লাগিল । বোধ হইল যেন, জলাশয় বিষাদ হেতু রোদন করিতেছে । ৫২ ৷ ভয়বিহবল নাগ-বধূগণের দীর্ঘনিশ্বাস-বেগে সমূদিত ফেণমালাযুক্ত জলাশয়ের জল যেন তরঙ্গরূপ হস্তে পুষ্পাঞ্জলি লইয়া কম্পিত কলেবরে রক্ষার জন্য প্রার্থনা করিল । ৫৩ : * সাধক বিদ্যাবলে গারুড় মন্ত্রপ্রভাবে নাগরাজকে বন্ধন করিলে এবং গর্তের বিস্তার সঙ্কোচিত করিয়া জলাশয়ের উপর টানিয়া আনিলে পর লুব্ধক ধনু আকর্ষণ করিয়া বিষাদগ্ধ বাণদ্বারা সেই সুবর্ণলুব্ধ সাধককে বিদ্ধ করিল। বাণ-বিদ্ধ হইবামাত্র সাধক নাগরাজকে ছাড়িয়া দিল এবং লুব্ধক আসিয়া করবালদ্বারা তাহার প্রাণনাশ করিল। ৫৪–৫৬ । সাধকের সেই সিদ্ধ বিদ্যা লোভবশতঃ অন্যের অনিষ্ট করিতে গিয়া তাহার নিজেরই বিনাশের কারণ হইল। ৫৭ ৷ বিদ্যা, বিভব ও শক্তি পরের অনিষ্টের জন্য প্রযুক্ত হইলে তাহ। সেই মোহান্ধ প্রযোজকের প্রাণ নাশ করিয়া নিজেও নষ্ট হয়। ৫৮। তৎপরে কৃতজ্ঞ নাগরাজ হর্ষান্বিত হইয়। লুব্ধকের স্নেহে লোভবশতঃ তাহাকে নিজ গৃহে লইয়া গিয়া রতুলতা-শোভিত উদ্যানে মণিময়