পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 89 s যাচ এণ করা অত্যন্থ লজ্জাকর সজ্জনগণ যাচ এণ করেন না । যাচ এং। শত অপমান সদ্য করিয়া সফল হইলেও নিক্ষল বলিয়। বোধ হয় । ২৯ । যাচকগণ কোন স্থানে প্রথম গমন করায় কিঞ্চিম্মাত্র সমাদর প্রাপ্ত হইয়া, পরক্ষণে সামান্য ধন যাচ এঃা করায় অপমান ও গ্লানি প্রাপ্ত হয় । উহার মনোমধ্যে আশার বিষয় বিবেচনা করিয়া সততই সন্দেহে তরলিতমতি হয়। উহার কখনও আশাবন্ধকে বৰ্দ্ধিত করে এবং পরক্ষণেই সঙ্কোচ করে । ৩০ । সকলেই লোভস্বভাব । কেহ ধন দ্বারা গুণ গ্রহণ করে না । অতএব আমি সৰ্ব্ববিধ উপায়বিহীন, অামার আর গতি নাই । ৩১ । কি করিব, কোথায় যাইব ? আমি ছায়াণী হইয়া মরুভূমির পগে রহিয়াছি । আমার নিরালঙ্গ মনোরপ বিশ্রাম পাইতেছে না । ৩২ ৷ এই নানা জন-সমাকীর্ণ স সার-কাননমধ্যে আমার এই বিপৎকালে কোনও একটি ঈদৃশ সাধুজনরূপ রক্ষকে পাইতেছি না, লিনি আর্থিগণকে সৰ্ব্ববিধ বাঞ্ছিত ফল দান করিতে কম্পিত হন না এবং কখনও নত-ভাব ত্যাগ করেন না । ৩৩ । সত্ত্বসাগর রাজ্য অদীনপুণ্য সমস্ত অর্থিগণের পক্ষে কল্পরক্ষস্বরূপ, শুনিতে পাওয়া যায়। একমাত্র তিনিই বিপন্নের দুঃখনাশক । ৩৬ । ব্রাহ্মণ কপিল এইরূপ চিন্তা করিয়া সমুৎসুকমনে রাজ অদীনপুণ্যের সহিত দেখা করিতে গেলেন । আশা তাহার পথ দেখাইয়া দিল এবং হর্ষ অগ্রে যাইতে লাগিল । ৩৫ ৷ তৎপরে তিনি শনৈঃ শনৈঃ গমন করিয়া, নগরপ্রান্তবৰ্ত্তী তপোবনে উপস্থিত হইয়া, পথশ্রান্ত অবস্থায বন্ধলধারী রাজাকে দেখিতে পাইলেন । ৩৬ ।