পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| a રક્ત তিঘ্যরক্ষ দেখিল যে, কৃমিট বেগে উদ্ধে ও অধোদেশে চলাচল করিতেছে এবং বিষ্ঠা ত্যাগ করিতেছে । তৎপরে পিপ্পলী, হিঙ্গু ও বিড়ঙ্গযুক্ত ঔষধ কৃমির উপর নিক্ষেপ করিল। ৮৪ । সেই সেই ক্ষার দ্রব্য ও বিষাক্ত কতকগুলি দ্রব্য দিয়াও কৃমিট মরিল না। পরে পলাণ্ডু-রস স্পর্শমাত্রেই কৃমি মরিয়া গেল। ৮৫ ৷ তিষ্যরক্ষা এই উপায়টি জানিতে পাইয়া অত্যন্ত হর্ষসহকারে রাজার নিকট গেল এবং প্রচ্ছন্নভাবে পলাণ্ডু রস সেবনদ্বারা ক্ষণকালমধ্যেই বাজাকে সুস্থ করিল । ৮৬ ৷ যেখানে বিষের কোন শক্তি নাই, যেখানে অস্ত্র-সকল কুষ্ঠিত হয় এবং যেখানে হুতাশন উৎসাহহীন হইয়া পরাত্মখ হন, সেখানেও যুবতী স্ত্রীগণের ক্ষমতা অকুষ্ঠিত ভাবে প্রকাশ হয় । ৮৭ ৷ তৎপরে কৃতজ্ঞ রাজা জীবন-লাভ-হর্ষে এবং তিষ্যরক্ষার প্রতি প্রেমবশতঃ তাহার প্রার্থনানুসারে সাত দিনের জন্য রাজ্যের কর্তৃত্বভাররূপ বর তিয্যরক্ষাকে প্রদান করিলেন। ৮৮ তিষ্যরক্ষা রাজ্যভার প্রাপ্ত হইয়। স্বাধীনভাবে সমস্ত রাজকাৰ্য্য করিতে লাগিল। সে তক্ষশিলাধিপতির নিকট উত্তম রত্ন উপঢৌকন সহ একটি রাজমুদ্রাঙ্কিত পত্র প্রেরণ করিল । ৮৯ ৷ তৎপরে তক্ষশিলাধিপতি বিনয়-নম্র হইয়া রাজমুদ্রাঙ্কিত পত্রটি গ্রহণ করিয়া স্বয়ং স্পষ্টাক্ষর ও স্পষ্টাৰ্থ পত্রটি পাঠ করিলেন । ৯০ ৷ “স্বস্তি, পাটলিপুত্র নগর হইতে, র্যাহার অনুপম সমর-সাহসদ্বারা চতুঃসাগরসীম। পৰ্য্যন্ত সমস্ত পৃথিবীতে বিশ্রুত বিমল যশোরূপ শুভ্ৰবস্ত্ৰাৱত বস্তুধাবধূব সৌভাগ্য-গর্বে প্রবল রিপুগণের প্রতাপ খববীকৃত হইয়াছে, যিনি তারাতিবধূগণের বিলাসি তার শাপ স্বরূপ, র্যাহার মণিময় নিৰ্ম্মল পাদপীঠে শত শত প্রণত সামন্ত-রাজার মুখপদ্ম প্রতিবিম্বিত হয়, যিনি বন্ধুগণরূপ কমলের বিকাশ-বিষয়ে সূৰ্য্যসদৃশ এবং যিনি