পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ ○○ হস্তিপালগণ গজেন্দ্র-গর্জনে নিশ্চল ও নির্ভয় কুণালকে দেখিয়া বলিল,—ইনি কোনও সত্ত্বসাগর নির্ভয় স্বাক্ষত্রিয় হইবেন । ১১৯ ৷ কাঞ্চনমালিকা পতির চরণ-সেবা করিতেছিলেন। তিনি হস্তীটির দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া সহসা দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ পূর্বক সজলনয়নে বিভব ও অভিমানের কথা স্মরণ হওয়ায় বলিলেন । ১২০ ৷ তোমার সম্মুখে যে সকল ময়ূরগণ গজেন্দ্র-গর্জনে মেঘন্দ্রমে নৃত্য করিতেছে, ইহার বাৰ্ত্তিকবাহন ময়ূরের বংশ-সস্তৃত। গজানন গণেশের গৰ্জ্জনকালেও ইহাদের কোনরূপ বিকার হয় না। ১২১ ৷ তৎপরে সরাগ। ( অর্থাৎ সন্ধ্যারাগ-রঞ্জিতা ), চপলা (অর্থাৎ ক্ষণস্থায়িনী ), দোষোন্ম খাঁ ( অর্থাৎ রাত্রির আহবানকারিণী) সন্ধ্য তামুরাগবত চঞ্চলস্বভাব ও দুষ্কৰ্ম্মাভিলাষিণী বিদ্বেষবতী নারীর ন্যায় সহসা উপস্থিত হইয়া লোচনের জীবনস্বরূপ সূৰ্য্যকে হরণ করিয়া জনগণের অন্ধত বিধান করিল। ১২২ ৷ ভ্রমরা বলা লক্ষীর বিরহে স্নান ও সস্কুচিত মুখপদ্ম পদ্মাকরকে দেখিয়া শোকে যেন ভবিতব্যতার স্বভাব গান করিতে লাগিল । ১২৩ ৷ বিশ্বপ্রকাশের একমাত্র মণিপ্রদীপস্বরূপ সূৰ্য্য অস্তমিত হইলে লক্ষ লক্ষ দীপালোকদ্বারা দিবালোকের লেশমাত্রও হইল না। মহাজনের তেজ সৰ্ববাতিশায়ী হইয়া থাকে। ১২৪ ৷ মণিময় ও সুবর্ণময় প্রাসাদময়ী সেই রাজধানী অন্ধকারমধ্যে প্রভায় প্রকাশমান হইয়া কষ্টকালে ভক্তিপূর্বক পতির উপকারকারিণী শীলবতী সতীর স্যায় শোভিত হইল। ১২৫ ৷ তিমিররাশি উদগত হইয়। সর্বস্থানে অধিকারপূর্বক ত্রিভুবন আলোকহীন করিল এবং ক্রমে যেন চন্দ্রোদয়-ভয়ে অভিভূত হইয় কোথায় লুক্কায়িত হইল। ১২৬।