পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ « Ob বলিলেন,—কি জন্য তুমি মোহবশতঃ শাণিত অস্ত্রস্বরূপ ত্রুরস্বভাব অনার্ষ্যাকে রক্ষা করিতেছ ? ১৫৮ ৷ যাহার মন বিদ্বেষী ও স্নেহবান ব্যক্তির প্রতি তুল্যভাব থাকে, সে নগণ্য মনুষ্য । যাহার অপকারীর প্রতি ক্রোধলেশ ও হয় না, তাহার উপকারেও প্রসন্নত হইবে কেন ? ১৫৯ ৷ দুঃখিত রাজ দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ পূর্বক এই কথা বলিলে পর কুমার পিতাকে বলিলেন,—হে রাজন! এই তীব্র অপকারেও আমার কোনরূপ দুঃখ বা ক্রোধলেশও হয় নাই । ১৬০ ৷ যদি আমার জননীর প্রতি এবং যে ব্যক্তি নিজ হস্তে আমার নেত্র উৎপাটিত করিয়াছে, তাহার প্রতি তামার মন প্রসন্ন থাকে, তাহা হইলে সেই সত্যবলে এখনই আমার নেত্রদ্বয় পূর্বলবৎ হউক। ১৬১ ৷ এই কথা বলিবাবাত্র রাজপুত্রের নয়ন-পদ্মদ্বয় প্রাদুর্ভূত হইল। তদর্শনে লোক-সকল সত্যব্রহের প্রতি বিশ্বাসবান হইল এবং রাজলক্ষী নয়নদ্বয়ে লুব্ধ হইলেন । ১৬২ ৷ উৎসাহজনক, নেত্রদ্বয়ে শোভমান কুণালকে যৌবরাজ্যগ্রহণে বিমুখ জানিতে পারিয়! গুৰুল্য গুণবান তদীয় পুত্রকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করিলেন। ১৬৩ ৷ অতঃপর রাজা পত্নী তিষ্যরক্ষার উপযুক্ত দণ্ডবিধান করিয়া,কুণালের এরূপ দুর্দশ উপেক্ষ করার জন্য তক্ষশিলাধিপতির প্রতিও দুঃসহ ক্রোধানল প্রকাশ করিলেন । ১৫৪ ৷ ভিক্ষুগণ কৌতুকবশতঃ ইহার কারণ জিজ্ঞাসা করায় সঙ্ঘস্থবির বলিলেন,—এই রাজপুত্ৰ পূৰ্ব্বজন্মে কাশীপুরে এক লুব্ধক ছিলেন।১৬৫। সেই লুব্ধক হিমালয়ের তটপ্রান্তে গুহায় প্রবিষ্ট পঞ্চ শত মৃগকে চক্ষু উৎপাটন দ্বারা অন্ধ করিয়া আবশ্যক মত ক্রমে ক্রমে বধ করিয়াছিল । ১৬৬।