পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s se তিনি অগস্ত্যের অঞ্জলিসদৃশ সেই পাত্রদ্বারা সমুদ্রজল আকাশে উৎক্ষিপ্ত করিতে লাগিলেন। ৫৩ ৷ অদ্ভুতকারী রাজকুমার সমুদ্রের সমস্ত জল উৎক্ষিপ্ত করিয়া নিঃশেষ করিলে দেবগণ কর্তৃক ভৎসিত সমুদ্রদেবতা ভীত হইয়া মণিটি কুমারকে প্রত্যপণ করিলেন । ৫৪ ৷ রত্বের ন্যায় উজ্জ্বল দীপ্তিসম্পন্ন মহাজনের নিষ্কপট প্রভাব এবং মন্ত্র ও তপস্যার প্রভাব তত্ত্বতঃ কে জানিতে পারে ? ৫৫ ৷ সমুদ্র বহুদূরবিস্তত, অপার জলের আধার, উত্তাল তরঙ্গাবলীপরিব্যাপ্ত এবং রত্বের আকর বলিয়া শুনা যায় । কিন্তু মহাপুরুষগণের প্রভাব সমুদ্র অপেক্ষাও গম্ভীর ও অপ্রমেয় ; ইহার বিষয় চিন্তা করিলে বুদ্ধি বিস্ময়সাগরে প্লাবিত হয়। ৫৬। তৎপরে রাজকুমার চিন্তামণি লাভ করিয়া নিজ সঙ্গিগণের সহিত মিলিত হইয়া হৃষ্টচিত্তে নিজ নগরে গমন করিলেন । ৫৭ ৷ তিনি কৃতকাৰ্য্য হওয়ায় তাহার পিতা হৃষ্ট হইয়া তাহাকে সমাদর করিলেন এবং কুমার রত্নটি ধ্বজাগ্রে নিহিত করিয়া জনগণসমক্ষে বলিলেন যে, আমি যদি পরোপকারার্থে এরূপ যত্ব করিয়া থাকি, স্বার্থের জন্য যদি না হয়, তাহা হইলে এই সত্যবলে জগদ্বাসী সকল লোক আদরিদ্র হউক । ৫৮-৫৯ । সত্ত্বনিধি ও দীনদয়ালু রাজকুমার এই কথা বলিবামাত্র পৃথিবীতে অপৰ্য্যাপ্ত রত্নবৃষ্টি নিপতিত হইল। ৬০ ৷ সেই ভাস্বর রত্নকান্তিদ্বারা চতুর্দিকের জনগণের দারিদ্র্যরূপ অন্ধকার নিঃশেষভাবে বিদূরিত হইল। ৬১ ৷ যে সকল দীন জনগণ আশাবশতঃ ধনিগণের বহিবটিতে গিয়া, ৰীেবারিকগণের হস্তে আঘাত প্রাপ্ত হইয়া দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ পূর্বক শোকে দেহত্যাগ করিতে আকাঙক্ষণ করিত, এমন তাহ+