○○V) স্ত্রাগণ স্বেচ্ছানুসারে স্পর্শমুখ ভোগ করে । উহার স্নেহে লিপ্ত হয় না, গুণে বাধা হয় না এবং গৌরবের অপেক্ষা করে না । ২০ । • পরে ঘনন্তনা বিশাখপত্নী রাত্রিকালে নিঃশব্দে তাহার সহিত প্রায়শঃ রমণ করিতে লাগিল, কিন্তু নিঃশঙ্কভাবে সুরত না হওয়ায় পতিকে বিল্লম্বরূপ বুঝিল। ২১ । এ কারণ ঐ স্বৈরিণী নিজপতিকে বধ করিতে কৃতসংকল্প হইল । পাপীয়সী স্ত্রীগণ পাপকাৰ্য্যাদি শিক্ষায় বেশ নিপুণ হয়। ২২ । সে ছল করিয়া মস্তকে তা তা স্তু বেদন। হুইয়াছে, এই কথা বলিয়া নিজ ললাট একটা বস্ত্র দ্বারা বেন্টন করিল । ১৩ । রাজপুত্র বিশাখ তাহার তীব্র শিরোবেদনার কথা শুনিয়া করুণাবশতঃ তাহার প্রভাকারের যুক্তি চিন্ত করিতে লাগিলেন । ২৪ । কলঙ্কবর্তী স্বামীকে বিষাদে ও চিন্তায় মগ্ন এবং দীঘনিশ্বাসযুক্ত দেখিয়া হিমমলিন পদ্মিনার নায়, শীতপাড়িত ভ্রমরগণের গুন গুন শব্দের ন্যায় মৃদুস্বরে বলিল । ২৫ । পূর্বের্ব আমার কন্যাবস্তায় এইরূপ শিরঃশুল তষ্ঠয়ছিল । তখন বৈদ্যগণ পাষাণভেদ লেপন করিয়! উত। নি পরিণ কবিয়ছিলেন । ১৬ । এই পৰ্ব্বতের পূর্ববাংশে লম্ভতর পায[ণভেদ আছে । আপনি যদি পারেন, তাহা হইলে, রজজু দ্বার। তাল তরণ কবিয়া লইয়। আসুন । ২৭ । আমি নিজহস্তে দড়া পরিয়। পাকিল, আপনি তাবর্তীর্ণ হইবেন । রাজপুত্ৰ পত্নাকর্তৃক এইরূপে তালুরুদ্ধ হইয় তাহাই স্বাকার করিলেন । ২৮ । অতঃপর কলঙ্কন তা রজু ধরিয়৷ পাকিল এবং রাজপুত্র উহ। অবলম্বন করিয়া শিলায় আম্ফালন জন্য গৰ্জ্জনকারিণী গিরিনদার তটে অবতীর্ণ হইলেন । ২৯ । তিনি ঔষধসংগ্রহে নিযুক্ত হইলে, কলঙ্কবার্তা রজুটি ছাড়িয়া দিল ।
