পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

v98 বোম্বাই চিত্র। হইয়া ভীমার উত্তরে হটিয়া গেল। বর্ষশেষে আজম পুনর্বার সৈন্য সহ প্ৰত্যাগত হইলেন। এবার বিজাপুর সেনারা আর এক কৌশল অবলম্বন করিল। তাহারা সীমান্তে মোগলদের প্রতিরোধ না করিয়া রাজধানী মধ্যেই বলসঞ্চিত রাখিয়া তাহদের প্রতীক্ষা করিয়া রহিল। এইরূপ আচরণের সুফল আপনা হইতেই ফলিল। বিজাপুরের উত্তর অঞ্চলে ধান্য শস্য। জলের অভাব-অত বড় মোগল সৈন্যের আহার যোগান’ বিষম দায়। সোলাপুর হইতে তাহাদের সকল আহার সামগ্রী সংগ্ৰহ করিতে হইত-এ দিকে বিজাপুরের অশ্বারোহী দল অন্নবাহক লোকদের কাটিয়া ফেলে—মহা উৎপাত ! অবশেষে আহমদনগর হইতে অনেক কষ্টে এক বোঝাই ধান্য আমদানী হওয়ায় মোগল সৈন্য রক্ষা পায়। ইত্যবসরে সম্রাট স্বয়ং রঙ্গভূমিতে অবতীর্ণ হইলেন। তখন হাইদ্রাবাদের বিরুদ্ধে তিনি যুদ্ধের আয়োজন করিতেছিলেন তাহা কোনমতে তালিতুলি দিয়া শেষ করিয়া সসৈন্য যুদ্ধযাত্রায় বাহির হইলেন। আসিয়া দেখেন। তঁহার পুত্র আজমের সৈন্য বিজাপুর এক প্রকার ঘিরিয়া দাড়াইয়াছে—সে সৈন্যের যে সমস্ত অভাব ছিল তাহার আগমনে তাহা দূর হইল। সহরের দক্ষিণে প্রাচীর ভেদ যোগ্য কামানসজা প্ৰস্তুত হইল ও তাহার বলপ্রয়োগে প্রাচীর স্থানে স্থানে শীঘ্রই ক্ষত বিক্ষত হইয়া পড়িল । তিনি দেখিলেন সম্মুখ যুদ্ধের প্রয়োজন নাই—ভিতরে অন্নকষ্টেই কাৰ্য্যোদ্ধার হইবার সম্ভাবনা ; “সবুরে মেওয়া ফলে।” এই বাক্য স্মরণ করত পরিণাম প্ৰতীক্ষা