পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিংহলে ভ্ৰমণ বৃত্তান্ত । SSN) পড়িতে হয় ; আহারের সঙ্গে কোন সম্পর্কই নাই। বড় কষ্ট ! বড় কষ্ট ! আমাকে কেহ জাহাজের উপর হইতে জলে ফেলিয়া দেয় সেও স্বীকার। সমুদ্রে আসিতে কাহাকেও আর পরামর্শ দিতে পারি না। কোন দিক দিয়া যে কি হইতেছে, কিছুই দেখিতে পাই না । ১৮ আশ্বিন, সোমবার। আমরা তো এত কষ্ট ভোগ করিতেছি, কিন্তু আমাদের জাহাজের আর বিশ্রাম নাই । এর আর রাত্ৰি দিন বিচার নাই, চলিতেছেই চলিতেছেই—“ন দিবা ন রাত্ৰি না বায়ু বৃষ্টি? কত ভয়ানক ভয়ানক তরঙ্গ ইহাকে গ্ৰাস করিতে আসিতেছে, কিন্তু ইহার কিছুতেই কিছু হয় না । কি আশ্চৰ্য্য ! এমন অগাধ সমুদ্রের মধ্য দিয়া আমরা কেমন নির্বিঘ্নে নিঃশঙ্ক হইয়া যাইতেছি। এমন যে ভয়ানক সমুদ্র, এও আমাদের কলিকাতার পথের মত আয়ত্ত হইয়াছে। দেশ কালের উপরেই বা মনুয্যের কি আধিপত্য প্ৰকাশ পাইতেছে। বিজ্ঞানবলই বল । আমরা এক্ষণে পরিচালকদিগের হস্তে আমাদের ধন প্ৰাণ সমৰ্পণ করিয়া নিশ্চিন্ত আছি । বিশ্বাসের এমনি আশ্চৰ্য্য গুণ ! আমরা নিশ্চয়ই মনে করিতেছি যে ইহার আমারদিগকে গম্যস্থানে পৌছিয়া দিবে। ইহাদের কেহই যদি না থাকে, আর আমরা সকলেই থাকি, এবং এই বাষ্পীয় নৌকার উপরেও যদি অধিকার হয়, তথাপি আমারদের কি দুৰ্দশ ! আমরা ইহাকে কোন দিক দিয়া কোন সমুদ্রের গুপ্ত পাহাড়ের