৸৹
নাড়ীশক্তিকে (বিরমানন্দরূপা প্রধানা অবধূতিকে) দৃঢ়ভাবে (সহজরূপ প্রভাস্বর) শূন্যতায় ধারণ করিয়া, অনাহত ডমরু বীরনাদে (শূন্যতারূপ সিংহনাদে) বাদিত হইতেছে। [তাহাতে] কাপালিক যোগী কৃষ্ণাচার্য্য অচার (অচর, জড়) দেহনগরীতে প্রবিষ্ট [থাকিয়াই] একাকারে (অদ্বয়ভাবে) বিহার করিতেছেন। আলি ও কালিকে তিনি চরণের ঘণ্টা ও নূপুর এবং রবি ও শশীকে [কর্ণের] কুণ্ডল আভরণ করিলেন। (মহাসুখরাগরূপ বহ্নিতে) রাগ, দ্বেষ ও মোহকে (দগ্ধ করিয়া) [তাহার] ভস্ম লইয়া [অঙ্গে লেপন করিলেন এবং] পরম মোক্ষরূপ মুক্তাহার লাভ করিলেন। শ্বাসকে (পূর্ব্বোক্ত মনঃপবনকে) মারিয়া, নয়টি নন্দকে[ব্যাখ্যা ১] (চক্ষুরাদি বিজ্ঞানপ্রবাহকে তাহাদের) ঘরে প্রবিষ্ট করাইয়া, মায়ারূপিণী (অবিদ্যাকে) মারিয়া, কৃষ্ণাচার্য্য (বজ্র)কাপালিক হইলেন।
১২
রাগ ভৈরবী
কৃষ্ণপাদানাম্— করুণা পিহাড়ি খেলহুঁ নঅবল।
সদ্গুরুবোহেঁ জিতেল ভববল॥ ধ্রু ॥
ফীটউ দুআ মাদেসি রে ঠাকুর।
উআরিউএসেঁ কাহ্ন ণিঅড় জিনউর॥ ধ্রু ॥
পহিলেঁ তোড়িআ বড়িআ মারিউ।
গঅবরেঁ তোড়িআ পাঞ্চজনা ঘালিউ॥ ধ্রু ॥
মতিএঁ ঠাকুরক পরিনিবিতা।
অবশ করিআ ভববল জিতা॥ ধ্রু ॥
ভণই কাহ্নু আহ্মে ভাল দান দেহুঁ।
চউষঠ্ঠি কোঠা গুণিয়া লেহুঁ॥ ধ্রু ॥
করুণা(রূপ স্বাধিষ্ঠানচিত্তকে) পীঠ (ছক) করিয়া, (তাহার সপ্ত সমাধিমল নিরাসপূর্ব্বক আমি) নববল (দাবা বা মন্ত্রনয়রহস্যাত্মক চতুর্থানন্দবল) খেলিতেছি এবং সদ্গুরুপ্রদত্ত জ্ঞানের সাহায্যে ভববলকে (বিষয়াভাসবলকে) জয় করিয়াছি। [এই খেলায় প্রথমেই] দুয়াকে (আভাসদ্বয়কে, বজ্রজপক্রমে) কাটিলাম। রে ঠাকুর! (রাজা বা অবিদ্যাগ্রস্ত চিত্ত!) [এই তুমি] মাৎ (মৃত) হইলে। উপকারিকের উপদেশে[ব্যাখ্যা ২] কাহ্নু