পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ. Σ 3 বৌদ্ধধৰ্ম্ম । উত্তীর্ণ হইয়া, জন্মমৃত্যু অতিক্রম করিয়া জ্ঞাননেত্ৰে এই নিৰ্বাণাবস্থা অনুভব করেন ও জানিতে পারেন “আর আমাকে এই মৰ্ত্ত্যলোকে ফিরিয়া আসিতে হইবে না।” বুদ্ধের এই উপদেশ শ্রবণ করিয়া ব্ৰাহ্মণ তখনি বিনীত ভাবে বুদ্ধ, ধৰ্ম্ম ও সঙ্ঘের শরণাপন্ন হইলেন। তিনি এক বৃহৎ যজ্ঞ করিবার মানসে অনেক পশু সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন, সে সকলকে ছাড়িয়া দিয়া বুদ্ধকে কহিলেন— “দেখুন, আমি এই সকল জীবকে মুক্ত করিয়া দিলামইহারা মনের সুখে চরিয়া বেড়াক-মুক্ত বায়ু ইহাদিগকে ব্যাজন করুক ।” এইরূপ কথিত আছে যে, বুদ্ধের উপদেশে রাজা বিম্বিসার তঁহার রাজ্যে যজ্ঞে পশুহত্যা উঠাইয়া দিয়া প্রচার করিয়া দিলেন “এখন হইতে যজ্ঞে আর পশুবলি হইবে না-পশুদের প্ৰতি মনুষ্য সদয় হইলে, দেবতারা মনুষ্যের প্রতি সদয় হয়েনি।” পুরোহিতের কৰ্ম্মকাণ্ড ছাড়িয়া দিলে পৌরোহিত্য কাজেই চলিয়া যায়- বৌদ্ধ সঙ্ষেও তাঁহাই দেখা যায়। গুণ ও বয়সে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের প্রাধান্য ছিল- বৌদ্ধ সঙ্ঘের প্রথম বয়সে তাহার মধ্যে পৌরোহিত্যের প্রভাব উপলক্ষিত হয় না। সে প্রভাব কেনই বা থাকিবে ? যে ধৰ্ম্মে দেবতার আসন নির্দিষ্ট নাইশান্তি স্বস্ত্যয়নের বিধান নাই।--যে ধৰ্ম্মে যাগ যজ্ঞ ক্রিয়া কৰ্ম্ম ভজন পূজনের কোন বিধি-ব্যবস্থা নাই-সে ধৰ্ম্মে পুরোহিত কিসের জন্য ? ষাগ যজ্ঞের অধীশ্বর, দেব মানবের মধ্যস্থ এরূপ কোন কাৰ্যকৰ্ত্তার কিছুই প্রয়োজন নাই।--বৌদ্ধ মতে প্ৰত্যেক