পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধধৰ্ম্ম। ૨રો দর্শন। আপনারা শুনিয়া থাকিবেন যে কয়েক বৎসর হইল। ( ১৮৮২) আমাদের খ্যাতনামা পরিব্রাজক শ্ৰীযুক্ত শরৎচন্দ্ৰ দাস এই লামার সাক্ষাৎকার লাভ করেন ; এ ঘটনাটি আমাদের সামান্য গৌরবের বিষয় নহে। ইহার বিস্তৃত বিবরণ শরৎ বাবুর ভ্রমণবৃত্তান্তে বৰ্ণিত আছে। মোনিয়র উইলিয়ামসের ‘বৌদ্ধধৰ্ম্ম’ at OS পৃষ্ঠায় তাহার সারভাগ সন্নিবেশিত হইয়াছে । লামার প্ৰাসাদ-মঠ লহাসার উত্তর-পশ্চিম পোতালায় অবস্থাপিত । ইহা এক প্ৰকাণ্ড উচ্চ চৌতালা গৃহ, দশ সহস্ৰ ভিক্ষুর বাসোপযোগী কক্ষরাজিতে সুসজ্জিত ; ইহার শিখরদেশ স্বর্ণচূড়ায় বিভূষিত। সিড়ির পর সিড়ি উঠিয়া পরিব্রাজক মহাশয় লামা-মঞ্চে আরোহণ করিলেন, সেই লোহিত প্ৰাসাদের উচ্চ শিখর হইতে লহাসা নগরী ও তাহার আশপাশের শোভা সৌন্দৰ্য দর্শনে তাহার নয়ন-মন মুগ্ধ হইল। মহালামা ৮ বৎসরের বালক, বক্র চক্ষু ছাড়া মুখশ্ৰী আৰ্য্যাকৃতি, উজ্জ্বল গৌরবর্ণ, রঙ্গীণ রেশম-মণ্ডিত সিংহাসনে দুই সিংহমূৰ্ত্তি মাঝে উপবিষ্ট। দেহোপরি গৈরিক বসন, মাথায় পঞ্চধানীবুদ্ধের নিদর্শনস্বরূপ পঞ্চকোণ পীতবর্ণ টোপর। প্রাচীরের গায়ে বুদ্ধ বোধিসত্ত্বের চিত্রাবলী, জাফ্রাণ রঞ্জিত আরক্ত শান্তি জল সিঞ্চন, ধূপধুনা দীপালোকে আনুষ্ঠানিক ঘটার সীমা নাই । দর্শকমণ্ডলীর জন্য নীচে নয় পংক্তিতে সারি সারি পশমের আসন বিছানো, সকলে শান্ত সংযত ভাবে নিজ নিজ নির্দিষ্ট স্থানে গিয়া বসিলেন। শরৎ বাবুর আসন তৃতীয় পংক্তিতে। পরে আশীর্বাদের সময় আসিলে দর্শকবৃন্দ মাথা হেঁট করিয়া সিংহাসনের কাছে কঁকিয়া পড়িল। শরৎ বাবু