পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RGłby বৌদ্ধধৰ্ম্ম তাহার উদ্ধত উগ্র স্বভাবের পরিবর্তন সাধন করিলেন। সেই রাক্ষস দীক্ষা গ্ৰহণ করিয়া অল্পকাল মধ্যে অৰ্হৎ মণ্ডলীতে পন্থান লাভ করিল। এই বিস্ময়কর ব্যাপার দর্শন করিয়া তাহার আত্মীয়স্বজনবৰ্গ চমকিত হইল। সদ্ধািৰ্ম্ম গ্রহণের ফলে কিরূপে মনুষ্যের চরিত্র শোধন হয়, বুদ্ধদেব তাহ লোকদিগকে বুঝাইয়া বলিলে তখন তাহদের প্রতীতি জন্মিল। নন্দের দীক্ষা গ্ৰহণ - বুদ্ধদেব কপিলবস্তুতে গিয়া প্ৰথমে তাহার পুত্র রাহুলকে ' দীক্ষা দান করিলেন, পরদিবস। তঁহার বৈমাত্রেয় ভ্ৰাতা নন্দের প্ৰব্ৰজ্য গ্রহণের পালা আসিল । সেদিন নন্দের যৌবরাজ্যে অভিষেক, ও জনপদ-কল্যাণী’ নামক একটি লোকপ্ৰথিতা সুন্দরীর সহিত বিবাহ স্থির হইয়াছিল। গুরুদেব গৃহে প্ৰবেশ করিয়া নন্দকে নগরের বাহিরে এক বটবৃক্ষ তলে লইয়া গিয়া, তাহাকে যথানিয়মে স্বধৰ্ম্মে দীক্ষা দান করিলেন । কন্যা ব্যাকুল অন্তরে বরাগমন প্রতীক্ষা করিতেছিলেন, কিন্তু বর আর বাড়ী ফিরিলেন না । পরে শুনা গেল, নন্দ তার অনিচ্ছাসত্ত্বেও সন্ন্যাসী শ্রেণীভুক্ত হইয়াছেন - সকলি ভাঙ্গিয়া গেল। সুপ্রিবুদ্ধ - গুরুদেব ভঁাহার চতুৰ্দশ বর্ষা জেতবনে যাপন করেন, তথায় রাহুল তাহার ২০ বৎসর বয়ঃক্রমে উপসম্পদ দীক্ষা গ্ৰহণ করে। সেই বৎসর তিনি কপিলবস্তু পুনর্দর্শন করিতে बने ।