পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RVeo বৌদ্ধধ ( বুদ্ধদেব ও ব্ৰাহ্মণ ভারদ্বাজ ॥- ধৰ্ম্ম প্রচারেব একাদশ বর্ষে ভগবান বুদ্ধ রাজগৃহে বর্ষ। যাপন করিতেছিলেন। একদা তিনি নিকটবৰ্ত্তী একনালা গ্রামে গিয়া ভারদ্বাজ নামক এক ধনশালী ব্ৰাহ্মণকে দেখিতে পান । দেখেন যে ভারদ্বাজ তাহার শস্যক্ষেত্রে কৃষিকাৰ্য্যের তত্ত্বাবধান করিতেছেন। ব্ৰাহ্মণ বুদ্ধকে দেখিয়া রুক্ষমঙ্গরে বলিলেন, “হে গৌতম! আমি কৃষক । লাঙ্গল ধরিয়া, বীজ বপন করিয়া জীবনযাত্ৰা নিৰ্বাহ করি। তুমিও লাঙ্গল ধর, বীজ বপন কর, অনায়াসে । আহাৰ্য্য সংগ্ৰহ করিতে পরিবে ।” বুদ্ধদেব উত্তর করিলেন, “হে ব্ৰাহ্মণ ! আমিও কৃষিকাৰ্য্য করি, বীজ বপন করিয়া আহাৰ্য্য সংগ্ৰহ করি।” --কি আশ্চৰ্য্য ! তুমি বলিতেছ। তুমি শ্রমজীবী কৃষক, অথচ তোমার বৃষ লাঙ্গল নাই, বন্ধনরজিছু নাই, অঙ্কুশ, যুগকাষ্ঠ এ সব কিছুই দেখিতেছি না । —-শ্রদ্ধাই আমার বীজ, সেই বীজ আমি সর্ববত্ৰ বপন করি ; কৰ্ম্মোদ্যম আমার বৃষ্টির জল ; প্ৰজ্ঞাই আমার লাঙ্গল, আমি সেই লাঙ্গল চালনা করিয়া অজ্ঞান-কণ্টক মোচন করি । মন আমার বন্ধনীরজ, মনের একাগ্ৰতা আমার দণ্ড ও অঙ্কুশ । সত্য দ্বার, আমি লোকসকলকে বন্ধন করি, এবং মায়ামমতা দ্বারা আমি বন্ধন মুক্ত করি। বীৰ্য্যই আমার চাষের বৃষ । আমি কৃষি করিয়া যে ধান্য আহরণ করি, তাহা দুঃখান্তকারী নির্বাণ ।” ভারদ্বাজ বুন্ধের এই উপদেশ শ্রবণ করিয়া, তঁহার সম্প্রদায়ভুক্তি হইলেন।