পাতা:বৌদ্ধধর্ম - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এখনও একটু আছে পাঠানের তিন চারি শত বৎসর ভারতবর্ষে রাজত্ব করিয়া গিয়াছেন। তাহারা জানিতেন না যে ভারতবর্ষে বৌদ্ধ বলিয়া একটা ধৰ্ম্ম ছিল। মোগলেরা ཏུས། আড়াইশ বৎসর ভারতবর্ষে রাজত্ব করিয়া গিয়াছেন । র্তাহারাও জানিতেন না যে ভারতবর্ষে বৌদ্ধ বলিয়া একটা ধৰ্ম্ম ছিল । ইংরাজ রাজত্বের প্রথমে ও সে কথা জানা ছিল না । ইউরোপীয়ের জানিতেন যে সিংহল, বৰ্ম্ম, শ্যাম, প্রভৃতি দেশে বৌদ্ধধৰ্ম্ম চলিত,-সে ধৰ্ম্মের ভাষা পালি, ধৰ্ম্ম-যাজকেরা ভিক্ষু, বিবাহ করেন না,-ইত্যাদি ইত্যাদি। ১৮১৬ সালে নেপালের সঙ্গে ইংরাজের সন্ধি হয় ; সেই সন্ধির বলে ইংরাজরা নেপালের রাজনীতিতে একজন রেসিডেণ্ট রাখেন। হজসন সাহেব বহুদিন সেই রেসিডেন্সির ডাক্তার থাকেন, পরে তিনি রেসিডেন্টও হন। তিনিই সর্বপ্রথম ভারতবর্ষে এক নূতন রকমের বৌদ্ধধৰ্ম্ম দেখিতে পান। ১৮২৬ সালে তঁহার পণ্ডিত অমৃতানন্দ ‘ধৰ্ম্মকোষ-সংগ্রহ’ নামে একখানি বৌদ্ধ-গ্ৰন্থ সংস্কৃতে লিখিয়া হজসন সাহেবের হস্তে অৰ্পণ করেন। হজসন সাহেব বৌদ্ধধৰ্ম্ম ও নেপাল সম্বন্ধে যে সকল পুস্তক লিখিয়াছেন তাঙ্কার অনেক মালমসলা এই সংস্কৃত পুস্তক হইতে সংগ্ৰহ করা। হজসনের পুস্তক পড়িয়! লোকের বিশ্বাস হয় যে, মহাযান নামে একপ্রকার বৌদ্ধধৰ্ম্ম বহুকাল ধরিয়া ভারতবর্ষে চলিতেছিল এবং ভারতবর্ষ হইতেই সেই ধৰ্ম্ম চীন, জাপান, কোরিয়া, মাথুরিয়া, মঙ্গোলিয়া, প্ৰভৃতি দেশে * ছড়াইয়া পড়ে-ক্রমে চীন ও তিব্বতে বৌদ্ধধৰ্ম্ম সংক্রান্ত অনেক সংস্কৃত পুস্তকের তর্জমা দেখিতে পাওয়া DDS DBDDBD BDDS K KK SKD0S BDS LLLL SS S SDDBBB DHDDBD বৌদ্ধধৰ্ম্মের অনেক সংস্কৃত পুথি নকল করাইয়া কলিকাতা, পারিস ও লণ্ডন নগরে পঠাইয়া দেন। নেপাল রেসিডেন্সির আর একজন ডাক্তার, রাইট সাহেব অনেকগুলি তালপাতার ও কাগজের বৌদ্ধ-পুথি সংগ্ৰহ করিয়া কেম্বি জ ইউনিভার্সিটিকে দেন।