পাতা:বৌদ্ধধর্ম - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮

বৌদ্ধ ধর্ম

দেওয়া আছে। তিনি বলেন, যে কেহ ত্রিশরণ গমন করিয়াছে সেই বৌদ্ধ ।
ত্রিশরণ শব্দের অর্থ

“বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি”
“ধৰ্ম্মং শরণং গচ্ছামি”
“সঙ্ঘং শরণং গচ্ছামি”
“দ্বিতীয়মপি বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি”
“দ্বিতীয়মপি ধৰ্ম্মং শরণং গচ্ছামি”
“দ্বিতীয়মপি সজঘং শরণং গচ্ছামি”
“তৃতীয়মপি বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি”
“তৃতীয়মপি ধৰ্ম্মং শরণং গচ্ছামি”
"তৃতীয়মপি সঙ্ঘং শরণং গচ্ছামি”

বোধ হয় অতি প্ৰাচীন কালে ত্রিশরণ গমনের জন্য কোন পুরোহিতের প্ৰয়োজন হইত না, লোকে আপনারাই ত্রিশরণ গ্ৰহণ করিত। কিন্তু পরে পুরোহিতের নিকট ত্রিশরণ লইবার ব্যবস্থা হয়। হস্তসার গ্রন্হে ভিক্ষুর নিকট ত্রিশরণ লইবার ব্যবস্থা আছে। যেমন খ্ৰীষ্টানের পুত্ৰ হইলেই সে খ্ৰীষ্টান হয় না, তাহাকে বাপ্টাইজ করিলে তবে সে খ্ৰীষ্টান হয়, সেইরূপ বৌদ্ধ পিতামাতার পুত্ৰ হইলেও, যতক্ষণ সে ত্রিশরণ গমন না করে, ততক্ষণ তাহাকে বৌদ্ধ বলা যায় না । বৌদ্ধদের যতগুলি ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম আছে, তাহার মধ্যে যেগুলিকে তাহারা অত্যন্ত সহজ বলিয়া মনে করিত এবং সকলের আগে সম্পন্ন করিত, সেই গুলিকে আদিকৰ্ম্ম বলিত। সেই সকল আদিকৰ্ম্মের মধ্যেও, আবার ত্রিশরণ গমন সকলের আদি । বিমলপ্ৰভায়ও লেখা আছে, আগে ত্রিশরণ গমন, পরে এই জন্মেই বুদ্ধ হইবার জন্য কালচক্ৰ মতে লৌকিক ও লোকোত্তর সিদ্ধির চেষ্টা করিতে হইবে। রত্নত্ৰয়ের শরণ লইলেই যদি বৌদ্ধ হয় এবং সেরূপ শরণ লইবার জন্য যদি পুরোহিতের প্রয়োজন না থাকে, তাহা হইলে জেলে, মালা, কৈবৰ্ত্তদের বৌদ্ধধৰ্ম্মে প্রবেশের আর বাধা,রহিল না। বিনয়পিটকে লেখা আছে যে, যে রাজদণ্ডে দণ্ডিত