পাতা:বৌদ্ধধর্ম - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Эo বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম ছেলেরা যেমন মাষ্টার মহাশয়দের মান্য করিয়া চলে, শিক্ষানবীস, শ্রমণের, সেইরূপে আপনার উপাধ্যায়কে মান্য করিয়া চলিত। ক্রমে সে সব শিখিয়া লইলে, তাহাতে ও উপাধ্যায়ে কোন প্ৰভেদ থাকিত না। সঙ্ঘে বসিলে, দুজনের সমান ভোট হইত।
বুদ্ধদেব যখন নন্দকে ‘ প্ৰব্ৰজ্যা” দিয়াছিলেন, তখন তিনি উহাকে বৈদেহমুনির হস্তে সমর্পণ করিয়াছিলেন। বৈদেহমুনি নন্দকে আপনার বন্ধুর মত দেখিতেন, বন্ধুর মত তাহাকে পরামর্শ দিতেন ও শিক্ষা দিতেন। বুদ্ধদেব মধ্যে মধ্যে বৈদেহমুনিকে জিজ্ঞাসা করিতেন, “কেমন, নন্দ বেশ শিখিতেছে তা ?” বৈদেহমুনি যেমন জানিতেন, সমস্ত খুলিয়া বলিতেন। যেখানে বৈদেহমুনি নন্দকে কোন বিষয় বুঝাইতে অক্ষম হইতেন, বুদ্ধদেব নিজে গিয়া তাহাকে উহা বুঝাইয়া দিতেন। মহাকবি অশ্বঘোষের সৌন্দরানন্দ কাব্যে বৈদেহমুনি ও নন্দের অনেক কথা লেখা আছে। তাহাতে বেশ দেখা যায়, বৈদেহমুনি নন্দের উপাধ্যায় হইলেও দুজনে পরস্পর বন্ধুভাবেই বাস করিতেন, তাহারা পরস্পর আপনাদিগকে সমান বলিয়া মনে করিতেন।
মহাযান বৌদ্ধের উপাধ্যায়কে “কল্যাণমিত্ৰ” বলিত। কল্যাণমিত্র শব্দ হইতেই বেশ বুঝা যাইতেছে যে, উভয়ের মধ্যে যে সম্পর্ক ছিল भशंनि সে গুরুশিষ্যের সম্পর্ক নয়, পরলোকের কল্যাণকামনায় গুরু 9夺 শিষ্যের মিত্ৰ মাত্ৰ। মহাযান-মতাবলম্বীরা দর্শনশাস্ত্রের খুব চর্চা করিতেন । এখানে গুরুশিষ্যে অত্যন্ত প্ৰভেদ হইবারই কথা, কিন্তু তাহা হইত না । সজেঘ অধিকার দুজনেরই সমান থাকিত এবং উভয়ে পরস্পর মিত্ৰ হইতেন। ক্ৰমে যখন এত দর্শনশাস্ত্র পড়া, এত যোগ ধ্যান করা অত্যন্ত কঠিন বলিয়া মনে হইতে লাগিল, যখন ভিক্ষুরা বিবাহ করিতে লাগিলেন, প্ৰকাণ্ড একদল গৃহস্থভিক্ষু হুইয়া দাড়াইল, তখন মন্ত্রযানের উৎপত্তি হইল। তাহারা বলিতে লাগিলেন “মন্ত্র জপ করিলেই, পাঠ, স্বাধ্যায়, তপ প্ৰভৃতি সকল ধৰ্ম্ম কৰ্ম্মেরক্ট 한 cन