পাতা:বৌদ্ধধর্ম - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম পণ্ডিত গৌড়ের সুলতান, রাজা গণেশ ও তাহার মুসলমান উত্তরাধিকারীগণের নিকট “রায়মুকুট” এই উপাধি পাইয়াছিলেন এবং তিনি একখানি স্মৃতি, অনেকগুলি কাব্যের টীকা ও অমরকোষের একখানি টীকা লিখিয়া বাঙ্গালাদেশে সংস্কৃতশিক্ষার বিশেষ উপকার করিয়া যান। তঁহার অমরকোষের টীকা একখানি প্ৰমাণিক গ্ৰন্থ। তিনি ঐ টীকায় চৌদ্দ পনরখানি বৌদ্ধ-পুস্তক হইতে প্ৰমাণ সংগ্ৰহ করিয়াছেন । তঁহার অমরকোষের টীকার তারিখ ইংরাজী ১৪৩১ সােল । তাহা হইলে তখনও বৌদ্ধ-শাস্ত্রের পঠন-পাঠন ছিল এবং ব্ৰাহ্মণেরও অন্ততঃ শব্দশাস্ত্রের প্রমাণ সংগ্রহের জন্য বৌদ্ধ পুথি পড়িতে বাধ্য হইতেন-একথা বেশ বুঝা যায়। চৈতন্যদেবের তিরোভাব হয় ইংরাজী ১৫৩৩ সালে । তাহার পর তাহার অনেকগুলি জীবন-চরিত, লেখা হয় । চূড়ামণি ፵፬ጓ qቐ<ቨጓff চৈতন্য-চরিত লেখেন। তাহাতে লেখা আছে চৈতন্যের জন্ম হইলে DBBBDBD BBBB DD DKD BBL BDDDD BDBBBBDS DDD S SDDDD আর একখানি “চৈতন্য-চরিত’ লিখিয়াছেন। তিনি পুরীর জগন্নাথদেবকে বৌদ্ধমূৰ্ত্তি বলিয়া বৰ্ণনা করিয়াছেন। সুতরাং ১৬ শতকেও বৌদ্ধের বাঙ্গালা হইতে একেবারে লোপ পায় নাই। ১৭ শতকে মঙ্গোলিয়া দেশে উৰ্গনামক নগরে এক মহাবিহারে তারানাথ নামে একজন প্ৰসিদ্ধ লামা ছিলেন । তিনি ভারতরর্ষে বৌদ্ধ-ধৰ্ম্মের অবস্থা কিরূপ আছে জানিবার জন্য ১৬০৮ সালে বুদ্ধগুপ্ত নাথ নামে একজন লামাকে পাঠাইয়াছিলেন। তিনি জগন্নাথ ও তৈলঙ্গ ঘুরিয়া বাঙ্গালাদেশে আসেন। তিনি কাশ্ৰম গ্রাম ও দেবীকোট, হরিভঞ্জ, ফুকবাদ, ফলগ্ৰ, প্রভৃতি নানাস্থানে ভ্ৰমণ করেন। এই সকল স্থানেই অনেক বৌদ্ধপণ্ডিত ছিলেন, অনেক বৌদ্ধ পুথিপাজী ছিল, বৌদ্ধধৰ্ম্মও খুব প্ৰবল ছিল । হরিভঞ্জ বিহারের ধৰ্ম্ম-পণ্ডিতের নিকট তিনি বৌদ্ধধৰ্ম্ম সম্বন্ধে নানারূপ শিক্ষালাভ করেন। হেতুগর্ভধন নামে একজন পণ্ডিত উপাসিকা তঁহাকে নানারূপ শিক্ষা দিয়াছিলেন। এইখানে তিনি অনেক সুত্রের মূলগ্রন্থ দেখিতে পাইয়াছিলেন। বাঙ্গালার বাহিরেও তিনি * অনেক স্থানে বৌদ্ধ-ধৰ্ম্মের উন্নতি দেখিতে পান। কিন্তু সে-সকল কথায়