পাতা:বৌদ্ধধর্ম - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

८दोक्ष क्षेत्रं ܘܵܪ হইয়াছিল-অত্যন্ত ইন্দ্ৰিয়াসক্ত হইয়াছিল এবং তাহার শেষ অবস্থায় ধৰ্ম্মের যে ব্যাখ্যা করিয়াছিল সে অতি কদাকার। সেই জন্য ব্ৰাহ্মণের তাহাদিগকে প্ৰথম বিদ্রুপ করিতেন। পরে ঘূণা করিতেন। বিদ্রুপের একটা উদাহরণ “প্ৰবোধচন্দোদয়” নাটকের তৃতীয় অঙ্কে দেখা যায়। क्षिन्तूच्चांद्t 9 বৌদ্ধদের বিরক্ত করিতে এটি করিতেন না। আমাদের শাস্ত্রে লেখা আছে, যেখানে দেবোত্তর ভূমি আছে তাহার নিকটে ব্রাহ্মণকে “ব্রহ্মাত্তর” দিবে না । কিন্তু সেন রাজাদের ব্রহ্মোত্তর দানে দেখা যায় যে উহার একসীমা “বুদ্ধবিহারী দেবমঠ”। কিন্তু বৌদ্ধদের প্রধান শত্রু রাজারাও ছিলেন না-ব্ৰাহ্মণরাও ছিল ন-শৈবযোগীরাই উহাদের প্রধান শক্ৰ ছিল। শেষকালের বৌদ্ধগ্রন্থসকলে দেখিতে পাওয়া যায় শৈবযোগীদের উপর উহাদের বড়ই রাগ। স্বয়ম্ভুপুরাণ নেপালের রাজা যক্ষমল্লের সময়ে লেখা হয় । তিনি ইংরাজী চৌদ্দ শতকের শেষে রাজত্ব করিতেন। স্বয়ম্ভুপুরাণের শেষে শৈবদিগকে বিস্তর গালি দেওয়া আছে। বাঙ্গালাতেও বোধ হয় শৈব্যযোগীরাই ক্ৰমে প্রবল হইয়া বৌদ্ধদের নাম পৰ্য্যন্ত লোপ করিয়াছে।। চৈতন্যদেব অনেক নীচ অস্পৃশ্য জাতির উদ্ধার করিয়াছেন। অনেক সময় মনে হয়, এই সকল নীচ অস্পৃশ্য জাতির পূর্বে বৌদ্ধ ছিল, এখন বৈষ্ণব হইয়া দাড়াইয়াছে। তাহাতেও বৌদ্ধধৰ্ম্মের নাম ক্রমে লোপ পাইয়াছে। Ο কিন্তু বাঙ্গালীর আশেপাশে বিশেষ উত্তর ও পূর্ব অঞ্চলে অনেক বৌদ্ধ ছিল। দাৰ্জিলিঙ্গ, শিলিগুড়ি প্রভৃতি স্থানে অনেক বৌদ্ধ বাস করিাত ; নেপালে অনেক বৌদ্ধ ছিল ; চাটগায়ে অনেক বৌদ্ধ ছিল। চাটগা ও ত্রিপুরার পাহাড়ে বরাবরই বৌদ্ধ ছিল। ইহাদের মধ্যে নেপালী বৌদ্ধেরাই সেকালের ভারতবর্ষীয় বৌদ্ধদের উত্তরাধিকারী। দাৰ্জিলিঙ্গের বৌদ্ধর প্রায়ই তিব্বত হইতে তাহদের বৌদ্ধধৰ্ম্ম লাভ করিয়াছে। সিকিম ও দাৰ্জিলিঙ্গে কিরূপে বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্ৰবেশ করে তাহার কতক ইতিহাস পাওয়া গিয়াছে। সেটা সমস্ত তিব্বত হইতে আসা। নেপালেও তিববতীরা আপনাদের প্রভাব কিছু কিছু বিস্তার করিয়াছে, কিন্তু নেপালের অধিকাংশ বৌদ্ধই পুরাণ ভারতবর্ষীয় বৌদ্ধ।