পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ অধ্যয়ে ఏSa পাঠ, বাধ্যায়, যোগ সকলের ফল হইবে। “ওঁ ধণের ধরণ ক্লীং ফট সবাহা” প্রভৃতি সংক্ষিপ্ত অথশন্য মন্ত্রকে ধারণী বলে। এইরপে যে কত ধারণী তৈয়ার করা হইয়াছিল তাহার সংখ্যা করা যায় না। বৌদ্ধধমে দেবতার সংস্রব নাই। দেবতার পজা অচৰ্চনাহীনযানে ছিলই না। বুদ্ধের মাতুর ৪৫ শত বৎসর পরে বদ্ধমত্তি’ বিহারে প্রতিষ্ঠিত হয়। ক্লমে এক একটী করিয়া ধ্যানীবদ্ধ আসিতে লাগিলেন। প্রথম “অমিতাভ”, তারপর “অক্ষোভ্য”, তারপর “বৈরোচন”, তারপর ‘রত্নসম্ভব”, তারপর “অমোঘ সিদ্ধি’ আসিয়া জমিলেন। ক্লমে এই পঞ্চ তথাগতের পাঁচটী শক্তি দাঁড়াইল। শক্তিগণের নাম 'লোচনা’, ‘মামকী’, ‘তারা’, ‘পান্তরা’, ‘আৰ্য্যতারিকা’। পঞ্চধ্যানী বুদ্ধের পঞ্চ শক্তিতে পাঁচজন বোধিসত্তৰ হইলেন। তাহাদের মধ্যে "মঞ্জুশ্রী” ও “অবলোকিতেশ্বর” প্রধান। অবলোকিতেশ্বর কর্ণার মাত্তি । তিনি মহোৎসাহে জীব উদ্ধার করিতেছেন সতরাং তাঁহার পজা খাব আরম্ভ হইল। সেবকের উৎসাহ অনুসারে তাঁহার অনেক হস্ত হইতে লাগিল। অনেক পদ হইতে লাগিল, অনেক মস্তক হইতে লাগিল । তাঁহার পজা একটা প্রকান্ড ব্যাপার হইয়া উঠিল। তারাদেবীও নানা রপে ধরিয়া বৌদ্ধদের পজা গ্রহণ করিতে লাগিলেন। ইহার পরে অনেক ডাকিনী, যোগিনী, পিশাচী, যক্ষিণী, ভৈরব বৌদ্ধগণের উপাস্য হইয়া দাঁড়াইল । বদ্ধ দেবতা মানিতেন না। তাঁহার শিষ্যেরা শেষে ডাক, ডাকিনী, যোগিনী, প্রেত, প্রেতিনী, পিশাচ, পিশাচিনী, ভৈরব, ভৈরবী প্রভৃতির উপাসনা করিয়া আপনারা অধঃপাতে গেল, আর সঙ্গে সঙ্গে দেশটা সদ্ধ অধঃপাতে দিল । বৌদ্ধধৰ্ম্মে অনেক দিন হইতেই ঘণে ধরিয়াছিল। বদ্ধ নিজে যেদিন সীলোকদিগকে দীক্ষা দিয়া ভিক্ষণী করতে আরম্ভ করিয়াছিলেন সেই দিন হইতেই তাঁহাকে সংঘের বিশদ্ধি রক্ষার জন্য অনেক কঠোর নিয়ম করিতে হইয়াছিল। তিনি ভিক্ষ ও ভিক্ষণীদের এক বিহারে থাকিতে দিতেন না। কিন্তু তাঁহার মৃত্যুর পাঁচ ছয়শত বৎসর