Sలిషి বৌদ্ধ-ভারত খস্টীয় ৭ম শতাব্দী হইতে ১২শ শতাব্দী পৰ্য্যন্ত পাঁচশত বৎসর মধ্যে কুমারিল ভট্ট, শঙ্করাচাৰ্য্য, উদয়নাচাৰ্য্য, রামানজাচাৰ্য্য প্রভৃতি ধামাচাৰ্য্যগণ জন্মগ্রহণ করিয়া দাশনিক ধৰ্ম্মমত প্রচার করিয়াছিলেন। ইহাদের প্রচারিত ধৰ্ম্মমত এবং চরিত্রের প্রভাব লোকসাধারণের উপর পতিত হইয়াছিল। লোকমন্ডলী দলে দলে ইহাদের মতানবেত্তন করিয়া হিন্দুসমাজে নববলের সঞ্চার করিতে লাগিল। শঙ্করের মায়াবাদ প্রচ্ছন্ন বৌদ্ধধৰ্ম্মম বলিয়া উক্ত হইয়া থাকে। যে সকল সন্ধী বৌদ্ধধর্মের বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হইয়া নতন হিন্দধমের প্রাধান্য কীৰ্ত্তন করিতেন, তাঁহারা এই ধমের উচচনীতি বরণ করিয়াই ইহাকে পরাভূত করিয়া থাকিবেন। ভগবান বন্ধ বিষ্ণর অন্যতম অবতার বলিয়া স্বীকৃত হইয়াছেন । আৰ্যসভ্যতার বিশাল বক্ষ হইতে যে তরঙ্গ পববতসমান উত্থিত হইয়াছিল সেই তরঙ্গ উক্ত সভ্যতার সহিতই বিলীন হইয়াছে। বুদ্ধের আস্টাঙ্গিক সাধনামলক ধৰ্ম্মম ভারতবর্ষ হইতে বিলুপ্ত হয় নাই, উহা নিখিল ভারতের চিরন্তন উদার ধৰ্ম্মমধ্যে স্বীয় স্বতন্ত্র-সত্তা মিশাইয়া দিয়াছিল। ভারতের বাহিরে চীন, জাপান, তিব্বত, সিংহল প্রভৃতি যে সকল দেশে আমরা বৌদ্ধধর্মের বিচিত্র বিকাশ দেখিতে পাই, সেই সকল দেশে এই ধৰ্ম্ম-মহীরহের স্বতন্ত্র অভিব্যক্তির প্রচুর অবকাশ আছে। তবে ইহা নিঃসন্দেহ যে, অধ্যাত্ম হিসাবে বৌদ্ধধর্মের মল ভারতভূমিতেই অবিনশ্বরভাবে বিদ্ধ হইয়াছে এবং এই দেশই উক্ত ধমকে এখনও নব নব আকার দান করবে। ভারতের ভূমি খনন করিয়া এখন পন্ডিতেরা বৌদ্ধমন্দির আবিকার করিতেছেন। সাধকগণ ভারতের অধ্যাত্মভূমি খনন করিলে ইহাও প্রত্যক্ষ করিতে পারবেন যে, বৌদ্ধসাধনা এই দেশে যে শিকড় বিদ্ধ করিয়া রাখিয়াছে, উহা কোন দিন শুকাইয়া মরিয়া যায় নাই। সাধন-ভজন হীন ও বিদ্যা-বিনয়শন্য কারিগর বেীদ্ধেরা যখন সমাজের প্রভু হইল, ইহাদের ব্যভিচারে, অনাচারে যখন বৌদ্ধসমাজের প্রতি লোকে বীতশ্রদ্ধ হইল, তখন নবধর্মবলদীপ্ত মসলমান আক্রমণকারীরা এই ঘাণে-ধরা সমাজমন্দিরের উপর অবিমষ্যভাবে আঘাত
পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/১৪০
অবয়ব